বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিদনপুর গ্রামের প্রবাসী কমর উদ্দিনের পুত্র ফাহিম আহমদ (১০) বাইসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হলে তাকে লাথি দেয় একই এলাকার মুহিব আলীর পুত্র সুমন আহমদ। গত সোমবার বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা দেখে প্রতিবাদ করলে শিক্ষার্থী হোসেন আহমদের মাথা লক্ষ্য করে ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করে সুমন। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার শারিরীক অবস্থা অবনতি হওয়া সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোক বিরাজ করছে।
নিহত কলেজ শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ পৌর এলাকার মধ্য নিদনপুর গ্রামের ছমির উদ্দিনের পুত্র। সে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ঘাতক সুমন আহমদ একই এলাকার মুহিব আলীর ছেলে এবং পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মনির আলীর ভাতিজা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকাল ৩টার দিকে বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার নিদনপুর সরকারি বিদ্যালয়ের সামনে শিশু ফাহিমকে লাথি দিয়ে বাইসাইকেল থেকে ফেলে দেয় সুমন আহমদ। কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা দেখে হোসেন আহমদ প্রতিবাদ করেন। এ সময় সুমনের সাথে হোসেনের বাকবিতন্ডা ঘটে।
এক পর্যায়ে সুমন হাতে থাকা ভারি বস্তু দিয়ে হোসেনের মাথায় ও শরীরে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হোসেনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সুমন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে করেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সিলেট শহরের ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ হাসপাতালের আইসিইউতে দুইদিন থাকার পর গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।
হোসেনের বড়ভাই হাসান আহমদ বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বখাটে সুমন আমার ভাইয়ে পিঠিয়ে মেরো ফেললো। আমরা তার ফাঁসি দাবি করছি।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, ঘাতক সুমনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় সমুনকে একমাত্র আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।