সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে রিনা বেগম (৪৫) নামের এক বিধবা মা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার রাত ৮টায় থানা পুলিশ ওই বিধবার লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত রিনা বেগম উপজেলার বড়দল (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের মৃত মদরিছ মিয়ার স্ত্রী।
জানা গেছে, উপজেলার কামারকান্দি গ্রামের এক সন্তানের জননী রিনা বেগম রোববার সকাল সাড়ে ৮টার পর কোনো এক সময় বসতঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে বাড়ি থেকে কৃষি কাজের উদ্দেশে বের হয়ে যাওয়া একমাত্র ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে (২৮) প্রতিবেশীরা দুপুরের দিকে সংবাদ দিলে তিনি বাড়িতে এসে মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়।
প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে রিনা বেগমের স্বামী মদরিছ মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ঘরে একমাত্র বিবাহযোগ্য ছেলে থাকার পরও অভাব অনটেনের কারণে ছেলেকে বিয়ে করাতে পারছিলেন না। এমনকি কৃষি শ্রমিক ছেলের অনিয়মিত অল্প আয় রোজগারে ঠিকমত মা ছেলের প্রায়ই দুবেলা খাবারও জুটত না। এ কারণে হতাশাগ্রস্থ হয়ে রিনা বেগম গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার করেন।
নিহতের একমাত্র ছেলে জাহাঙ্গীর রোববার রাতে বলেন, সকালে মায়ের সঙ্গে নাস্তা করে আমি কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বের হই, এরপরই প্রতিবেশীরা মায়ের মৃত্যুর খবর পৌঁছান দুপুরে।
তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, অভাব তো আমাদের নিত্য সঙ্গী, তারপরও মা ছিলেন আমার ভরসার জায়গা। তিনি অভাবের তাড়নায় সইতে না পেরে আমায় একা ফেলে চলেই গেলেন।
তাহিরপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ওই নারী অভাবের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়েই আত্মহত্যা করেছেন।