বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজার উপজেলার থানাবাজার থেকে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে আটক করে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় থানাবাজারের একটি দোকান থেকে মুয়াজ্জিনকে আটক করার পর পরিচয় পেয়ে ঘন্টা খানেক পর পুলিশ ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পুলিশের দাবি, পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামী রায়হানকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সোর্সের দেয়া ভুল সংকেতে আটক করা হয় মুয়াজ্জিনকে। পরে স্বসম্মানে তাকে থানা বাজার নামিয়ে দেয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা রায়হানকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। বিয়ানীবাজার থানার উপ-পরিদর্শক পিন্টুসহ একদল পুলিশ থানাবাজারের একটি দোকান ঘিরে ফেলে ভেতর থেকে মুয়াজ্জিন হাফিজ মোস্তাফা আহমদকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় উপস্থিত মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে বিষয়টি বিয়ানীবাজার থানার দায়িত্বশীলদের অবহিত করেন। পরে পুলিশ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মুয়াজ্জিন হাফিজ মোস্তাফা আহমদকে থানাবাজার পৌছে দিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদা পোশাকে দুইজন ব্যক্তি স্থানীয় থানাবাজার মসজিদ মার্কেট এলাকায় একটি দোকানে এসে মুয়াজ্জিন হাফিজ মোস্তাফা আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় জামায়াত নেতা রায়হান বলে মুয়াজ্জিনকে আটক করে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক উপস্থিত লোকজন ও তার সঠিক পরিচয় জানালেও দায়িত্বশীলরা তা কর্ণপাত করেননি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বিলাল আহমদ বলেন, আমার এলাকার মসজিদের (দক্ষিন পাহাড়িয়াবহর) মুয়াজ্জিনকে সন্ধ্যায় একটি দোকান থেকে জামায়াত নেতা দাবী করে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। তখন তিনি নিজেও উপস্থিত সকলে তার সঠিক পরিচয় জানান। কিন্তু পুলিশ তাদের কথা শুনেনি।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, এটা নিছক ভুল। আমাদের তালিকাভুক্ত আসামী রায়হানকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। সোর্সের ভুলে রায়হানের পরিবর্তে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে ধরা হয়। পরিচয় পেয়ে আমরা তাকে স্বসম্মানে যথাস্থানে পৌছে দিয়েছি।
তিনি বলেন, এ রকম ঘটনার পুনরাভিত্তি যাতে না হয়ে সেজন্য পুলিশ আরো সর্তকভাবে কাজ করবে।