কুয়েতের শ্রম বাজার খোলার পর থেকে নানা অযুহাতে আবাসন খরচ আকাশচুম্বী করে তুলেছেন অসাধু ভিসা ব্যাবসায়ীরা। সাধারণ প্রবাসীরা সব সময় তা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হয়নি। এই সমস্যা শেষ না হতেই খোঁজ মিলল জাল ভিসা প্রতারক চক্রের।
সম্প্রতি দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে কয়েকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান কয়েক হাজার ভিসা বিক্রি করে উচ্চমূল্যে ভালো কাজের কথা বলে অথচ ওই কোম্পানির কোন অস্তিত্ব নেই, অনুসন্ধান করতে গিয়ে আদম পাচারের ভয়াবহ তথ্য পায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
কুয়েতের একটি কোম্পানির শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কোম্পানিতে লেবার, ড্রাইভার এর কাজের কথা বলে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশিকে কুয়েতে নেন একটি দালাল চক্র। একেক জনের কাছ থেকে ৬ থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
প্রায় দেড় বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শ্রমিকরা কোম্পানিতে যোগ দেয়। প্রথম অবস্থায় অনেকের আকামা লাগানো হলেও পরে কারোই আকামা লাগানো হয়নি। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে আরও দেড় লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয়।
বিপাকে পড়া শ্রমিকরা জানান, ‘তাদের নামে পলাতক হিসেবে মামলা করে রেখেছে কোম্পানি। অথচ তারা কোম্পানিতেই অবস্থান করছেন। এসকল শ্রমিকরা বর্তমানে কর্মহীন, আকামা ছাড়া চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কাল-পরশু কাজ দেবে বলে দেড় বছর পার করে দিলেও এখনো কেউ পায়নি কাজ।’
অন্যদিকে, বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতারক চক্রের নাম আছে বলে জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম।
তিনি আরও জানান, যে সকল অসাধু ভিসা ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রতারক চক্রের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
স্থানীয় প্রশাসনসহ বাংলাদেশে ওই সকল প্রতারক চক্রের নাম বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।