গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে যাত্রী ছাউনিতে সিএনজি অটোরিক্সার স্ট্যান্ড! যাত্রীদের বিশ্রাম আর রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যাত্রী ছাউনি খানিকটা আশ্রয় হলেও গোলাপগঞ্জ পৌর সদরের ছাউনিটি দেখে তা বোঝার উপায় নেই। অনেকেই এটিকে এখন গাড়ির গ্যারেজ ভেবে ভুল করতে পারেন। আর ময়লা ফেলার ভালো জায়গা হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে এটি। এদিকে ছাউনিতে জায়গা না পেয়ে যাত্রীসাধারণ দাঁড়িয়ে থাকছেন আশপাশের দোকানের বারান্দায়। সংস্কারের অভাবে উপজেলা সদরের একমাত্র যাত্রী ছাউনিটি এখন জরাজীর্ণ। জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ছাউনিতে এসে ময়লা ফেলে যাচ্ছে আশপাশের মানুষ। হোটেলের পচা ভাত, তরকারি সবই ফেলা হচ্ছে। ফলে আবর্জনার দুর্গন্ধে ভারি হয়ে গেছে এখানকার পরিবেশ। হআশপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে দূরের যাত্রীরা এখানে বসে বিশ্রাম নিতেন, গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতেন। বৃষ্টির দিনে নারী ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয় ছিল এটি। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে এখন যাত্রী ছাউনির দেয়ালের প¬াস্টার উঠে গেছে। জানালার গ্রিলগুলো জংধরা। এর মধ্যেই আবার কিছু লোক মিলে ছাউনিটিকে মোটরসাইকেলের গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করছে। নোংরা ও দুর্গন্ধে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে যাত্রী ছাউনির পাশের ক্যান্টিন। এর সামনের অংশটিও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা অস্থায়ী স্ট্যান্ড বানিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তারা শিগগির এ বিষয়টি নিয়ে বসবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।