নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন না টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রী

45

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রী থাকছেন না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তারা (টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী) পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যেকোনো সময় পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে। পদত্যাগপত্র গৃহীতের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন।’
গতকাল সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে গত ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য না হয়েও বিশেষ বিবেচনায় মন্ত্রী) চার মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তারা আর দায়িত্বে নেই ধরে নিয়ে পরেরদিন বুধবার সকাল নাগাদ চার মন্ত্রী অফিস না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, যে কয়েকজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন তারা নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন না। বলেন, আমার বিবেচনায় সংবিধান অনুসারেই সব কিছু এগোচ্ছে, এখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া চারজন এখনও মন্ত্রী আছেন কি না এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা গ্রহণ করতে হয়। আর পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। উনি যখন গ্রহণ করবেন, এরপরে যা হয় এটার প্রসেস আছে, তারা জমা দিয়েছেন, যেকোনো সময় এটা কার্যকর হবে।’
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ঘোষণাকে ‘শুভ লক্ষণ’ হিসেবে বর্ণনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে চলেছে বলে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ সাত দিন পিছিয়েছে। সবকিছুই ঠিকঠাক মতোই চলছে।’
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে করা এক প্রশ্নে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা তো এখন নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বই পালন করছি। আমাদের এখন রুটিন ওয়ার্ক, ফাইল সই করব দৈনন্দিন কাজের। নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি না।’
দেশে এখন ‘সুন্দর’ পরিবেশ বিরাজ করছে মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, আমরা আশা করি নির্বাচন পর্যন্ত এই পরিবেশটা বিরাজ করবে এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা বিজয়ী হবেন, তারা সরকার গঠন করবে।
আদালতের রায়ে সাজা হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন তোফায়েল। বলেন, ‘আমার যতটুকু সংবিধান সম্পর্কে ধারণা আছে, কারো যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয়, তারপর যদি সে মুক্তও হয়, তার পাঁচ বছরের মধ্যে সে নির্বাচন করতে পারে না, যতক্ষণ সে সাজাটা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট বাতিল না করে। সুতরাং সাজাপ্রাপ্ত কেউ নির্বাচন করতে পারবে বলে সংবিধানে নেই।