স্টাফ রিপোর্টার :
টানা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন (বিধিনিষধ) শিথিলের প্রথম দিনে পুরো নগরী জুড়ে ছিলো ব্যাপক যানজট। আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীতে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। নারী-পুরুষ যেন নগরীতে হুমড়ী খেয়ে পড়েছে। পাশাপাশি যানজটের নগরী হয়ে উঠেছিলো সিলেট।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর কিনব্রিজ, শাহজালাল ব্রিজ, শাহাজালাল উপশহর, লামাবাজার, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, মদিনা মার্কেট, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, দক্ষিণ সুরমার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় দীর্ঘ যানজট ও মানুষের ভিড় দেখা যায়। দক্ষিণ সুরমায় সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও দুরপাল্লার বাসে যাত্রীদের চাপ ছিলো প্রচন্ড। লকডাউন শিথিল হওয়ার ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দোকানাপাট ও শপিংমল। সেই সাথে চালু হয় সবধরণের গাড়ী, অটোরিকশা ও বাস। ফলে নগরীজুড়ে ফিরে তার আগের রূপে।
নগরীর প্রায় সব রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। অফিস বা জরুরি কাজে যেতে রাস্তায় সীমাহীন যানজটের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে মানুষদের। সব সড়কে তীব্র যানজটের কারণে নগরবাসীকে নাকাল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। রিক্সা, সিএনজি
অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী যানবাহনের চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা এই সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ‘স্ট্যান্ডগুলো’তে যাত্রীদের উপচেপড়া ভীড়। মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় চলাচল করছেন গাদাগাদি করে।
কদমতলী টার্মিনালে সিলেট থেকে হবিগঞ্জে যাত্রী পরিবহন করা বাসচালকের সহকারী হেলাল উদ্দিন বলেন, সকালে যাত্রীদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে যাত্রীদের উপস্থিতি বেড়েছে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সরকারনির্ধারিত বর্ধিত ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য জানান, দীর্ঘদিন ঘর থাকা মানুষ বাইরে বের হয়েছে। সড়কে গাড়ি ও মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়া হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি নগরীতে প্রবেশ করেছে। তাছাড়া পণ্যবাহী যানবাহনের চাপও রয়েছে। এসব কারণেই সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন ছিলো এই অবস্থা। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।