প্রতীক বরাদ্দের ৩ দিন পর প্রচারণার সুযোগ

37

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রতীক বরাদ্দের পরও ৩ দিন নির্বাচনি প্রচারণায় কোনও প্রার্থী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ-ভোটগ্রহণের সময়ের ব্যবধান তিন সপ্তাহের বেশি হওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্যই, নির্বাচন কমিশন বলেছে, ব্যবধান যা-ই থাকুক, প্রতীক বরাদ্দ পেলে প্রচারণায় কোনও বাধা থাকবে না। আর নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতীক পেলেই প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগের কথা আইনে কোথাও উল্লেখ নেই। আইনে রয়েছে তিন সপ্তাহ সময়ের কথা, যার আগে প্রচারণার সুযোগ নেই।
নির্বাচন কমিশন গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ১৯ নভেম্বর, বাছাই ২২ নভেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৯ নভেম্বর ও ভোটগ্রহণ ২৩ ডিসেম্বর। তফসিলে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কিছু না জানালেও ৩০ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন। ফলে ভোটগ্রহণ ও প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে ব্যবধান দাঁড়াচ্ছে ২৩ দিন।
কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) [৪৪ই(৩অ)ম] ও নির্বাচনি আচরণ বিধি (১২) অনুযায়ী ভোটগ্রহণের দিনের তিন সপ্তাহের (২১ দিন) আগে কোনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এবার ভোটগ্রহণের দিন (২৩ ডিসেম্বর) থেকে তিন সপ্তাহ আগের দিনটি দাঁড়ায় ৩ ডিসেম্বর। কিন্তু কমিশন বলেছে, প্রতীক বরাদ্দ দেবে ৩০ নভেম্বর। ফলে তিন সপ্তাহের বাধ্যবাধকতা মানতে হলে প্রতীক পেলেও কোন দল বা প্রার্থীকে প্রচারণার জন্য আরও তিনদিন অপেক্ষা করতে হবে।
বিগত নির্বাচনগুলোর সময়কালের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কমিশন ২১ দিনের ব্যবধানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২১তম দিন বা তার পরে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে থাকে। সাধারণত, নির্ধারিত দিন সকালেই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর আইনে ওইদিনটি প্রচারণার সুযোগ হলে প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা প্রচারণায় নেমে যাওয়ার সুযোগ পান।