সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি – আইএমএফ

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ধাক্কা খেলেও সরকারের দ্রুত ও সময়োচিত পদক্ষেপে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জানিয়েছে বৈশ্বিক আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আইএমএফ। কাঠামোগত কিছু সমস্যার সমাধান এবং নীতিকাঠামোর আধুনিকীকরণ হলে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাবে বলেও মনে করছে আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থা।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সাফল্য নিয়ে শনিবার এই মূল্যায়ন করেছে আইএমএফ। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল্যায়ন নিয়ে আইএমএফ তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির বাংলাদেশ মিশনের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে।
আইএমএফ বলেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে চমকপ্রদ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ধারাবাহিকভাবে ভালো জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সামাজিক সূচকেও উন্নতি করেছে সমানতালে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।
আইএমএফের ওযেবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির শুরুর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম ৩ দশমিক ৫১ শতাংশে নেমে আসে। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হওয়ার খবর আসে।
আইএমএফের হিসাবে, বাংলাদেশে খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, বিশেষ করে জ্বালানির দাম বাড়ায় চলতি অর্থবছর শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সরকারের হিসাবের চেয়ে কিছুটা বেশি হবে। দেশটির অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে মূল্যস্ফীতির দিকে নজর রাখা। প্রয়োজনে বাজারে মুদ্রাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা।
আইএমএফ পূর্বাভাস দিচ্ছে, বাংলাদেশ আর্থিক খাতের এই গতিপথ ধরে রাখতে পারলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সার্বিক বিবেচনায় সামনের দিনগুলোতে বেশ কিছু অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি রয়েছে বলেও মনে করছে আইএমএফ। আর তা মোকাবেলায় রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদনমুখী বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের নীতিকাঠামো সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।