কাজিরবাজার ডেস্ক :
সাতক্ষীরায় যুক্তফ্রন্টের সম্ভাব্য প্রার্থীর জনসভায় যেতে নেতাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত হেলিকপ্টার উড়তে দেয়া হয়নি এমন অভিযোগ করেছেন জোটের চেয়ারম্যান এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এর পেছনে সরকারের হাত আছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এমন আচরণ থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। অন্যথায় বিকল্প পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি দেন বি চৌধুরী।
বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ সাতক্ষীরায় যুক্তফ্রন্টের উদ্যোগে জনসভা করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য সাতক্ষীরায় আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী গোলাম রেজার পক্ষে জনসভা করতে বিশাল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। সকালে আমাদের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের যে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার কথা ছিল সেটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়তে দেওয়া হয়নি।’
বি চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তফ্রন্টের এই জনসভা নিয়ে সাতক্ষীরার মানুষের বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল এবং তারা জনসভা সফল করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। যুক্তফ্রন্টের উদ্যোগে ঢাকার বাইরে মফস্বল অঞ্চলে এটাই ছিল বিশাল গণসংযোগ এবং প্রথম জনসভা।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে যুক্তফ্রন্টের সংলাপে প্রধানমন্ত্রী আসন্ন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমাদের দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দেশের যেকোনো জায়গায় বিরোধী দল হিসেবে আমরা গণসংযোগ বা সভা-সমাবেশ করতে পারবো বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। দুুঃখের বিষয়, আমাদের ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার উড়তে দেয়া হয়নি, তাই আমরা জনসভায় যোগ দিতে পারিনি।’
যুক্ত্রফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা নিশ্চিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার এই জনসভা বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছে। আমরা সরকারের এই গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনের প্রতিশ্রুতির পরিষ্কার বরখেলাপ।’
বি. চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ওয়াদা ভঙ্গ সরকারের সদিচ্ছা বহন করে না। কোনোক্রমেই ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এ ধরনের ঘটনা হলে আমরা নিশ্চিতভাবে বিকল্প পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’