স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা তেতলী আহমদপুর এলাকা থেকে সিলেটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ (৩৫)সহ তার ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ৯’র সদস্যরা। গত মঙ্গলবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার, প্রায় ২৭ লাখ টাকা মূল্যের ৮ হাজার পুরিয়া হেরোইন, ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ প্যাকেট ইয়াবা, নগদ ৪ লাখ ৩০ হাজার ৫শ’ টাকা ও ২৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেলিবাজার (আহমদপুর) গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ (৩৫), শহীদের স্ত্রী মোছাম্মত শিউলি আক্তর ওরফে বুলু, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার গোপালপুর গ্রামের মৃত হান্নান মিয়ার পুত্র মো. হেলাল উদ্দিন (৩০) ও মো. সাগর আহম্মেদ (১৮) এবং মো.জালাল মিয়া(৩৫)।
জানা গেছে, ইয়াবা ও হোরোইন স¤্রাট শহীদ এবং তার সহযোগীরা সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় মাদকদ্রব্য পাইকারি হিসেবে বিক্রি করে আসছিলো। কয়েকবার আইন-শৃঙখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও জেল থেকে বেরিয়ে আবারো মাদক বিক্রি শুরু করে তারা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৯ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, শহীদের মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা লোকজন জানলেও তার ভয়ে কেউ কথা বলে না। দীর্ঘদিন থেকে তাদের আইনে আনার চেষ্টা চালায় র্যাব। মাদক ব্যবসায় তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যরা জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক বিক্রির কলহের জের ধরে গত ১৮ মার্চ তার শ্বাশুড়ি ললি বেগম খুন হয়। তাদের পুরো সিন্ডিকেটে আরো ৫/৬ জন রয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার ও মাদকের উৎসস্থল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে র্যাব। শহীদ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে সিলেটসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা অনেকটা কমে আসবে দাবি র্যাব অধিনায়কের।
গতকাল দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৯ এর মিডিয়া ইউংয়ের পরিচালক (সিনিয়র এএসপি) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃৃত্বে র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ অভিযানিক দল দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে স্ত্রী ও ৩ সহযোগীসহ শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি এবং মাদকদ্রব্য মজুদের কথা স্বীকার করে। পরে রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশী রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি, ৭হাজার ৬শত পিস ইয়াবা, ৩৪৪ গ্রাম হেরোইন ও নগদ ৪ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। শীর্ষ স¤্রাট শহীদকে গ্রেফতার করায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।