পুলিশের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে যুবতী অপহরণ !

11

বিশ^নাথ থেকে সংবাদদাতা :
পুলিশের কাছে বিয়ে দেওযার প্রলোভনে বিশ্বনাথে ১৮ বছরের এক যুবতীকে অপহরণের একদিন পর সুধাংশু চন্দ্র দাশ (৩২) নামের এক বখাটে প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার সাবান টেংরা গ্রামের মৃত রাজেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে। গতকাল সোমবার ভোররাতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের সহযোগীতায় জগন্নাথপুর থানা এলাকা থেকে যুবতীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সকালে মেয়ের বাবা (মজলিশ ভোগশাইল এলাকার) রবীন্দ্র মালাকার বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন মামলা নং ৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রঙ নাম্বারে কথা হওয়ার পর ওই যুবতী সুধাংশুর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ত বাড়ে এবং যুবতীকে অজ্ঞাতনামা এক পুলিশের ছবি দেখিয়ে তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখান সুধাংশু। মোবাইলে পুলিশ সেজে জগন্নাথপুর থেকে অন্য একজনের সঙ্গে কথাও হয় ওই যুবতীর। তারপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাড়িে থকে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে আসলে জোর করে অপহরণ করে জগন্নাথপুরে গিয়ে ধরা পড়েন শুধাংশু।
এদিকে বিয়ের প্রলোভনে রামসুন্দর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগে থানায় আরও একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। মেয়ের মা মমতা বেগম বাদী হয়ে রোববার রাতে সুমন আহমদ (২২) নামের এক যুবককে আসামি করেছেন, (মামলা নং ২৯)। সে উপজেলা সদরের মুফতির গাঁওয়ের আরশ আলীর ছেলে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে স্কুলে গিয়ে আর বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সুমনের বড়বোন রুবেলা বেগমের স্বামীর বাড়ি সিলেটের জালালাবাদ থানার অনন্তপুর থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
পৃথক অভিযানের বষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্ত্রী। তিনি বলেন, পৃথক পৃথক অভিযানে দুই ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত সুমন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।