কাজিরবাজার ডেস্ক :
পবিত্র আখেরি চাহার শম্বা আজ। ইসলামের সর্বশেষ নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) সফর মাসের শেষ দিকে প্রচ- অসুস্থ হয়ে পড়েন। সফর মাসের শেষ বুধবার তিনি অনেকটাই সুস্থতা লাভ করেন। সেই হিসেবে সফর মাসের শেষ বুধবারকে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় আখেরি চাহার শম্বা হিসেবে পালন করে থাকে। ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, আখেরি চাহার শম্বা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস। আখেরি চাহার শম্বা একটি আরবী ও ফার্সি শব্দ-যুগল। এর আরবী অংশ আখেরি, যার অর্থ ‘শেষ’ এবং ফার্সি অংশ চাহার শম্বা, যার অর্থ ‘চতুর্থ বুধবার’। এই দিন কিছুটা সুস্থতাবোধ করায় মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) গোসল করেন। মদিনাবাসী এই খবরে আনন্দ-খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। তারা দলে দলে নবীকে এসে একনজর দেখে যায়। সকলে তাদের সাধ্যমতো দান সদকা করেন। শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করেন। নবীর রোগমুক্তিতে তার অনুসারীরা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে তাদের কেউ দাসমুক্তি করেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করেন। এই খবরে আবু বকর সিদ্দিক ৫ হাজার দিরহাম, উমর ৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ১০০ উট, ইবনে আউফ ১০০ উট দান করেন।
ইসলামী ধর্মতত্ত্ববিদদের মতে কিছু নির্দিষ্ট বিধিবিধানের আলোকে আখেরি চাহার শম্বা পালন করা হয়ে থাকে। তবে দিবসটি পালন নিয়ে তাদের মধ্যে কিছু মতভেদ রয়েছে। কারণ দিবসটি মূলত শুকরিয়া দিবস হিসেবে পালিত হয় যাতে সাধারণ গোসল করে ২ রাকাত শোকরানা নফল নামাজ আদায় শেষে রোগমুক্তির দোয়া ও দানখয়রাত করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা দরবার খানকায়ে ওয়াজ নসিয়ত জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এদিনে। সাধারণ মুসলমানরা এ দিনটিকে খুশির দিন হিসেবে উদযাপন করে।