সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
আজ গোলাপগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। পৌরসভায় ২১ হাজার ৬ শত ৩২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৯ শত ৫৮ জন ও মহিলা ভোটার ১০ হাজার ৬ শত ৭৪ জন। গোলাপগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচনে ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের ৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও পুলিশের একটি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিজিবির ৩ প্লাটুন সদস্য এবং র্যাবের ৪টি মোবাইল টিম ও বিশেষ গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ৯ কেন্দ্রে ৫৯টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি কেন্দ্রে ১ জন করে প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটাররা বলছে এ উপ-নির্বাচন তিন স্বতন্ত্রের বাঁচা মরার লড়াই হবে এবং আ’লীগের জাকারিয়া আহমদ পাপলুর জন্য ওই নির্বাচন একটি অগ্নি পরীক্ষা। তিন স্বতন্ত্রের মধ্যে একজন আ’লীগের বিদ্রোহী ও অন্য দুইজন বিএনপির। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করা হলে তারা বলেন, এ নির্বাচনে তিন স্বতন্ত্রের বাঁচা মরার লড়াই হবে। আর আ’লীগের জাকারিয়া আহমদ পাপলুর জন্য অগ্নি পরীক্ষা। তিন স্বতন্ত্রের সূর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে। নৌকার মাঝি পাপলুর খবর জানতে চাইলে তারা বলেন সকল প্রার্থীদের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে রয়েছেন। এ নির্বাচনে পাপলুর ঘনিষ্ঠ লোকজনই তাকে ভোট দেবেন। পৌর ৪নং ওয়ার্ডে ফখরুর ইসলামের আলাপ করা হলে তিনি বলেন,আমাদের ওয়ার্ডে (জগ) প্রতীকের রাবেল এগিয়ে রয়েছেন। ২য় স্থানে রয়েছেন (মোবাইল ফোন) প্রতীকের গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন। ২নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী শামিম আহমদের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন,এ ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন (নারিকেল গাছ) প্রতীকের মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস। উনার নিজ ওয়ার্ড এটি। তার দাবী ১.২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে নার্জিস বিজয়ী হবেন। ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাজির আহমদের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, এ ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বিএনপির (মোবাইল ফোন) প্রতীকের শাহিন চৌধুরী। ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক মেয়র পাপলু। একই ওয়ার্ডের পাপলুর এক সমর্থকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন,পাপলু ভাই এই ওয়ার্ডে বিজয়ী হবেন। ৮নং ওয়ার্ডে হাফিজ খালেদ আহমদের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন,এই ওয়ার্ডে মোবাইল ফোন মার্কা ও জগ মার্কার লড়াই হবে। ভোটারদের সাথে আলাপ করে দেখা যায়, এ পৌর নির্বাচন তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কেউ বিজয়ী হবেন। এই তিনজনের মধ্যে কেউই পিছিয়ে নেই। আ’লীগের (নৌকা) প্রতীকের পাপলু শুধু ৭নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হতে পারেন। এছাড়া নির্বাচনের দু’দিন আগ থেকেই গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ নজরদারীতে রাখা হয়ে নির্বাচনী এলাকাগুলো। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। ২নং ফুলবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাঁড়িপাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোগারকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রণকেলী ২নং সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় ও সৈয়দ তানবির হোসেন কমিউনিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেনের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডই ঝুঁকিপূর্ণ। সেন্টারগুলো হল, ২নং ফুলবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাঁড়িপাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোগারকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রণকেলী ২নং সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় ও সৈয়দ তানবির হোসেন কমিউনিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পৌরসভার কোন ওয়ার্ডে কত ভোট- পৌরসভার ১নং ভোটকেন্দ্র হচ্ছে গোলাপগঞ্জ সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজ, এবং এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২১শ ৯৬জন। ২নং ভোটকেন্দ্র ২নং ফুলবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভোটার সংখ্যা ২৩শ ৮৫জন। ৩নং ভোটকেন্দ্র ঘোষঁগাও মাদ্রাসা, ভোটার সংখ্যা ১৭শ ৪২জন। ৪নং ভোটকেন্দ্র হাজী জছির আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-ভোটার সংখ্যা ২১শ ৮৪জন। ৫নং ভোটকেন্দ্র দাড়িপাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-ভোটার সংখ্যা ২৫শ ৬৯জন। ৬নং ভোটকেন্দ্র ঘোগারকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-ভোটার সংখ্যা ২৫শ ৮৯জন। ৭নং ভোটকেন্দ্র রণকেলী ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-ভোটার সংখ্যা ২৮শ ৫১জন। ৮নং ভোটকেন্দ্র কোয়ালিটি স্কুল উপজেলা কমপ্লেক্স-ভোটার সংখ্যা ২৬শ ৮জন। ৯নং ভোটকেন্দ্র্র সৈয়দ তানভীর হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- ভোটার সংখ্যা ২৫শ ৮জন।