কানাইঘাটে ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামী করে মামলা, গ্রেফতার ৩

41

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ভোরে কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির বায়মপুর (বদিকোনা) গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ফারুক আহমদ (৩৮) হত্যাকান্ডের ঘটনায় কানাইঘাট থানায় ১৬ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নিহতের চাচা বায়মপুর বদিকোনা গ্রামের আলী রাজা বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং-(২০) তাং-১৭। থানা পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বায়মপুর (বদিকোনা) গ্রামের কুতুব আলীর পুত্র হোসেইন আহমদ (৩৮) একই গ্রামের নূর আহমদের পুত্র ঈছন আলী (২২) ও হিম্মতের মাটি গ্রামের সাহাব উদ্দিনের পুত্র লুৎফুর রহমান (৩০) কে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে কানাইঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রার্থী একই গ্রামের হাফিজ ইসলাম উদ্দিন সহ তার সহোদর ২ ভাই এবং পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ আরো বেশ কয়েকজন কে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। প্রসঙ্গত যে, প্রায় ৬৬ শতক বিরোধ পূর্ণ ফসলী জমির দখল মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বায়মপুর বদিকোনা গ্রামের মৃত আরব আলীর পুত্র ইসলাম উদ্দিন গং এবং একই গ্রামের মৃত আছদ রাজার পুত্র আলা উদ্দিন গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে আলা উদ্দিন গংরা বিরোধপূর্ণ ফসলী জমির ১৬ শতক জায়গায় ধানের চারা রোপন করতে গেলে ইসলাম উদ্দিন গংরা তাদের বাধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আলা উদ্দিনের ভাই ফারুক আহমদ গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
জানা গেছে নিহত ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে মাদক ও জাল টাকার মামলা আছে।