গত ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার চেম্বার কার্যালয়ে সিলেটের বোল্ডার আমদানীকারকদের সাথে সিলেট চেম্বার এর নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় পাথর আমদানীকারকগণ বলেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ ও তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানীকৃত বোল্ডার পাথর দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ থেকে সরকারেরও বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় হচ্ছে। আমদানীকারকগণ জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্য হতে আমদানীকৃত বোল্ডার পাথরের এসেসমেন্ট রেইট প্রতি মেঃ টনে ১১ মার্কিন ডলার হিসেবে শুল্ক কর পরিশোধ করা হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বোল্ডার পাথরের এসেসমেন্ট রেইট বাড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা বলেন, বোল্ডার পাথরের এসেসমেন্ট রেইট বৃদ্ধি করা হলে পাথরের আমদানী মূল্য বৃদ্ধি পাবে। ফলে সিলেটের আমদানীকারকগণ দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের আমদানীকারকগণের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। এছাড়াও এর ফলে পাথরের আমদানী কমে যাবে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও কমবে। তাই বোল্ডার পাথরের এসেসমেন্ট রেইট বৃদ্ধি না করার জন্য সিলেটের পাথর আমদানীকারকগণ সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানীকৃত পাথর সারাদেশের পাথরের চাহিদা পূরণ করছে। এর সাথে হাজার হাজার শ্রমিক ও ব্যবসায়ীগণ জড়িত রয়েছেন। তিনি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে বোল্ডার পাথরের এসেসমেন্ট রেইট বৃদ্ধি না করার জন্য সিলেট কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, পরিচালক পিন্টু চক্রবর্তী, মুশফিক জায়গীরদার, চন্দন সাহা, সিলেট জেলা সিএন্ডএফ এজেন্ট গ্র“পের সভাপতি শাহ্ আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বশিরুল হক, পাথর আমদানীকারক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, সুব্রত ধর চৌধুরী (পার্থ), মোঃ জালাল উদ্দিন, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ ছারুয়ার হোসেন, মোঃ বেলাল হোসেন, হাজী মোঃ আবুল মিয়া, মোঃ জাকির হোসেন, উমর ফারুক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি