স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর ছালিয়া কাটুকুড়ি গ্রামে সালমা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজত মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ওই গৃহবধূর বড় ভাই খোয়াজ আলী হত্যার অভিযোগ এনে সালমা বেগমের স্বামী, দেবর, শ্বাশুড়িকে আসামী করে থানায় গত শনিবার মামলা দায়ের করেছেন।
এতে তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় ৮ বছর আগে গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের কন্যা সালমা বেগমের সাথে শহরতলীর ছালিয়া কাটুকুড়ি গ্রামের মৃত কাদির মিয়া ছেলে শানুর আহমদের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে শানুর মিয়া প্রায়ই সালমা বেগমকে যৌতুকের জন্য মারধর করতেন।
জানা যায়, গত ৩১ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় সালমা বেগমের পিতার বাড়ির লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ম্যধ্যমে জানতে পারেন, সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তার মৃত দেহ বেওয়ারিশ হিসাবে রক্ষিত আছে। ঐ দিন রাতে নিহতের ভাই খোয়াজ আলীসহ অন্যারা হাসপাতালে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন। এর আগে ৩০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সালমা বেগমকে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি করেন এবং পরদিন বিকেল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। এরপর লাশ ফেলে তার স্বামীসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার উপ পরিদর্শক মামুনের জানান-নিহতের ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করেন। প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।