স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর জিন্দাবাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা গলিতে ঋণের দায় থেকে বাঁচতে নিজেই নিজের প্রিন্টিং প্রেসের দোকানে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নাজমূল হাসানকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আটক নাজমুল হাসানের বাড়ি ঢাকার দোহারে। তার বাবার নাম ওমর আলী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শহরতলীর পীরবাজার টিকরপাড়ায় বসবাস করছিলেন। শুধু তাই নয়, নিজের দোকানে আগুন লাগালেও সে আগুনে পুড়েছে আরো দুটি প্রিন্টিং প্রেসের দোকান। পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ায় সোমবার বিকেলে ব্যবসায়ী নাজমুল হাসানকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।
জানা যায়, গত শনিবার সকাল ৭টার দিকে জিন্দাবাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা গলিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগে সুমাইয়া প্রিন্টিং প্রেস, আর আর প্রিন্টিং ও তাজিম অফসেট প্রিন্টিং পুড়ে যা। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনার পর কিভাবে আগুন লাগলো, তার অনুসন্ধান শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। নাজমুল হাসানের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে নাজমুল আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করে।
মুক্তিযোদ্ধা গলির ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মেহেদি কাবুল জানান, নাজমুল হাসান বিভিন্নজনের কাছে বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণগ্রস্থ ছিলেন। ঋণের দেনা থেকে মুক্তি পেতে তার মালিকানাধীন সুমাইয়া প্রিন্টিং প্রেসে আগুন লাগান তিনি। তার ধারণা ছিল, দোকান পুড়ে গেছে বলে দেনা থেকে মুক্তি পাবেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, ব্যবসায়ী নাজমুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।