সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী ফলাফলের গেজেট প্রকাশ না করতে নির্বাচন কমিশন, কমিশন সচিব ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রুল জারি করেছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম এর নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে এ ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে ৩১ জুলাই কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের দেওয়া আবেদন সংক্রান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যক্রম কেনো বেআইনী ঘোষণা করা হবে না এ সংক্রান্ত রুলনিশি জারি করা হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা হাইস্কুল কেন্দ্র ও এতিম স্কুল কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ৩১শে জুলাই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। ওই আবেদনে তিনি ওই দু’টি ভোট কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানান। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আবেদনের কোনো সাড়া না পেয়ে সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে রীট পিটিশন (নং ১০৪০৫/২০১৮) করের নজরুল ইসলাম বাবুল। এতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা উপ নির্বাচন কমিশনার সিলেটকে বিবাদী করেন।
এই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ নজরুল ইসলাম বাবুলের আবেদনের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সিলর পদে গেজেট প্রকাশ না করতে সিলেট সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রুল জারি বরেছেন। একই সঙ্গে বাবুলের দেওয়া আবেদন সংক্রান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যক্রম কেনো বেআইনী ঘোষণা করা হবে না এ সংক্রান্ত কারণদর্শাতে বলা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বাবুলের পক্ষে রিট শুনানীতে অংশ নেওয়া সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি মো. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, উচ্চ আদালতে গঠিত বেঞ্চ সিলেট সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও নির্বাচন ইলেকশন কমিশন, সচিব ইলেকশন কমিশন ও সিলেটের জেলা প্রশাসককেও এ আদেশ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন। (খবর সংবাদদাতার)