হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
শিক্ষকের ছুঁড়ে দেওয়া এসিডে আক্রান্ত হবিগঞ্জ টেনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মঈনুদ্দিন আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৪ আগষ্ট) বিকেলেই মঈনুদ্দিনকে ঢাকায় পাঠান হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. রেজাউল করিম।
এদিকে আহত শিক্ষার্থী মঈনুদ্দিন আহমেদের বাবা ফুল মিয়া বাদী হয়ে শনিবার রাতেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মঈনুদ্দিনের ভাই আবু শরীফ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে তার ভাইয়ের চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
ডা. রেজাউলি করিম জানান, তার শরীরে কি ধরনের এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে তা এখানে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, শনিবার রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আটক শিক্ষক আব্দুল কাইয়ূমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৪ আগষ্ট) সকাল পৌনে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ টেনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফার্ম মেশিনারিজ বিভাগের ছাত্র মঈনুদ্দিন আহমেদ সাবান তৈরি শেখার জন্য রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমের ক্লাসে যায়। এ সময় সে টেবিলে হাত দিয়ে শব্দ করলে রাগের মাথায় শিক্ষক তার শরীরে এসিড ছুড়ে দেন। এতে তার পিঠ এবং বুকের দিকে কিছু অংশ ঝলসে যায়।