সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আবারো অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অভিযোগ সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০১৮ এর রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। দাখিলকৃত অভিযোগে বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি সহ ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের যেভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা আইনসম্মত নয়। এটা সংবিধান ও নির্বাচন আচরণবিধি পরিপন্থী। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন চলছে এবং অব্যাহতভাবে গণ-গ্রেফতার করার হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সাদা পোশাকধারীর বেশে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে রাতে নেতাদের বাড়িতে গিয়ে বিনা ওয়ারেন্ট ও মামলা বিহীন বিএনপি নেতা-কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে, বাড়ী তল্লাশী করছে এবং আমাদের এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছে যার ফলশ্র“তিতে কেউ বাড়িতে থাকতে পারছে না। এসব ঘটনা আমাদের দেশে আইন সম্মত নয় ও মানবাধিকার পরিপন্থি। অন্যদিকে অপর এক অভিযোগে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার শুরুতেই বার বার আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ জানানো হলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা দিনদিন অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বেলা দেরটার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অভ্যন্তরে বিশাল স্ট্রেজ, ব্যানার, কয়েক শতাধিক চেয়ার ও বেশ কয়েকটি মাইক বাজিয়ে নৌকার পক্ষে সমাবেশ করছে। যা স্পষ্ট নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন। এছাড়া ওসমানী হাসপাতাল একটি স্পষ্টকাতর প্রতিষ্ঠান। এখানে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এখানে মাইক বাজিয়ে জনসমাবেশ করা বে-আইনী। অন্যদিকে সরকারী চাকুরীজীবীরা প্রকাশ্যে এই সমাবেশ আয়োজন করেছে বলে আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণাদি আছে। এসব ঘটনা আইন সম্মত নয় ও মানবাধিকার পরিপন্থি।
উপর্যুক্ত বিষয়গুলো সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিলেট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান তিনি।