শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
ওসমানীনগরে মাদরাসা যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে অপহরণকালে তিন জনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। এ সময় অপহরণকারীদের কবল থেকে মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিক্সা (মৌলভীবাজার-থ-১২-৪১৩১) জব্দ করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউপির চাতলপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অপহরণের শিকার মাহমুদা বেগম উপজেলার সাদীপুর ইউপির চাতলপাড় গ্রামের এনাম মিয়ার মেয়ে ও চাতলপাড় মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। আটককৃত অপহরণকারীরা হলো, মূলহোতা নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মারুফুর রহমান (২৪), তার সহযোগী মৌলভীবাজরের হামরকোনা গ্রামের আক্কল আলীর ছেলে শিপন আহমদ (২০)ও অপর সহযোগী একই গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক স্বপন মিয়া। অপহরণের শিকার ছাত্রীর পিতা এনাম মিয়া মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চলছে বলে জানা গেছে।
ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিদিনের মত মাহমুদা বেগম পায়ে হেটে মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। মাদ্রাসার কাছাকাছি পৌঁছা মাত্র একটি সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা উপহরণকারী দলের মূলহোতা নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মারুফুর রহমান (২৪) তার আরো দুই সহযোগী নিয়ে মাহমুদা বেগমকে জোর করে সিএনজি অটোরিক্সাতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল।
স্থানীয় জনতা ও আশপাশে থাকা অটোরিক্সার চালকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ২-৩টি অটোরিক্সা নিয়ে অপহরণকারীদের ধাওয়া করে তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় হলিমপুর এলাকায় গিয়ে তারা অপহরণকারীদেরকে ধরতে সক্ষম হন। পরে চাতলপাড় মাদ্রায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মাহমুদাকে অপহরণ করার কথা স্বীকার করে তিন অপহরণকারী। বিষয়টি ওসমানীনগর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ভিকটিম সহ অপহরকারীদের থানায় নিয়ে আসে। ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আটক তিন অপহরণকারীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভিকটিম আমাদের জিম্মায় আছে। আজ রোববার আদালতে জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।