স্টাফ রিপোর্টার :
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন অযথা কোনো হয়রানি করবে না, কোন কর্মকর্তা অযথা হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল শনিবার নগরীর রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে ইসি আয়োজিত সিসিক নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলরদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিসিক নির্বাচনে অস্ত্র ও অস্ত্র ছাড়া আনসার বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া র্যাব-পুলিশ-বিজিবি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন কিভাবে আমরা সিলেটকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিবো।
মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে বলছে ভোটারদের, ভোট দিতে যাবেন না? এটা শোনার কোনো দরকার নাই। আমাকে প্রতিদিন আমার মোবাইলে হুমকি দেয়। এখন কী আমি তার পেছনে পেছনে দৌড়িয়ে বেড়াব? আমি আমার কাজ করি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী গত ৯ জুলাই মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ৩০ তারিখ পর্যন্ত তোমরা এলাকা ছেড়ে চলে যাও। বিএনপি নেতার ওই অভিযোগের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ইসি রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, সিলেটের ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেয় এবং নির্ভয়ে ভোট দেয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। আমার বিশ্বাস, যে ফোর্স আমরা মোতায়েন করছি, মোর দ্যান এনাফ (প্রয়োজনের চেয়ে বেশি)। আপনারা দেখবেন, নিরাপত্তার চাদরে আপনাদের এই সিলেটকে ঢেকে দিয়েছি।
এর আগে গত ৯ জুলাই গাজীপুরের মতো সিলেট সহ তিন সিটিতেও নির্বাচনী প্রচারের সময় বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেসময় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জানান, গাজীপুরেও এমন নির্দেশনা দিয়েছি। এখন তিন সিটিতে দেওয়া হবে। যাতে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিটি এলাকার কোনো বাসিন্দা বা ভোটারকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা না হয়। তবে ওয়ারেন্ট থাকলে তা ভিন্ন বিষয়।