স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন আগামী ৩০ জুলাইকে সামনে রেখে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আর এ নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে বাড়ি-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গিয়ে তারা জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রচারে কেউ কারোর চেয়ে পিছিয়ে নেই। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরীর অলিগলি, পাড়া-মহল্লা। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা দিনরাত ব্যস্ত পোস্টার লাগানোর কাজে। পোস্টার লাগানোর পাশাপাশি প্রার্থীদের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনাও ঘটছে নগরী কোন কোন স্থানে।
এবার প্রচার-প্রচারণায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে নির্বাচনী প্রচারণাকে আরো গ্রহণযোগ্য ও প্রাণবন্ত করে তোলা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন সকল প্রার্থীরা। এসব মাথায় রেখে এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এই নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করতে মাঠে নেমেছে একটি মোবাইল স্টুডিও।
ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নিজের নির্বাচনী ইশতেহারসহ প্রতিশ্র“তি ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে অনেক প্রার্থীই এই মোবাইল স্টুডিওটির উপর ভরসা করছেন। প্রচারণায় নতুন প্রযুক্তিকে কাছে লাগিয়ে আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে জয়ের আশা করছেন অনেকেই।
মোবাইল স্টুডিও সৌখিন এড মিডিয়ার কর্ণধার প্রিন্স রবিন জানান, যুগোপযোগী ডিজিটাল নির্বাচনী প্রচারনায় অত্যাধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার করে মাইকিং প্রচারণায় প্রার্থীর কথাগুলো আবেগ অনুভূতির মিশেলে সুর ছন্দে শ্র“তি মধুর করে আমরা উপস্থাপণের ব্যবস্থা করে দেই। তিনি আরো জানান, মহিলা ও পুরুষের দ্বৈতকণ্ঠে দেশের জনপ্রিয় গানের সুরের মিশেলে প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের উপর ভিত্তি করে এই নির্বাচনী প্রচারণা গুলো তৈরি করা হয়। গতানুগতিক প্রচারণার বাইরে ডিজিটাল প্রযুক্তির এই প্রচারণায় মান ও শিল্পী ভেদে একজন প্রার্থীর ৩হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পরতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে সিসিক নির্বাচনে প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত মাইকিং দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও গভীর রাতে পর্যন্ত কোন কোন এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।