স্পোর্টস ডেস্ক :
এমন ইনিংস তিনি অনেকবার খেলেছেন। বিপদের সময় দলকে টেনে তোলার রেকর্ড তার ভুরি ভুরি আছে। শেষ বয়সে আরেক বার এই কৃতিত্ব দেখালেন লঙ্কানদের দীর্ঘদিনের কাণ্ডারি মাহেলা জয়াবর্ধনে। ৫১ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বুক চিতিয়ে লড়াই করে দলকে উপহার দিয়েছেন শত রানের নান্দনিক এক ইনিংস। বলতে গেলে তার একার কাছেই হেরেছে অনভিজ্ঞ আফগানিস্তান।
এদিন ২৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদম ভালো হয়নি না সাঙ্গাকারাদের। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় তারা। এরপর ১৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান আরো দুই ব্যাটসম্যান। ৫১ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে এশিয়ার এই দেশটি।
এই অবস্থায় ম্যাথিউসকে সঙ্গে নিয়ে জয়াবর্ধনে গড়েন ১২৬ রানে জুটি। ১১৯ বল খেলে শতকে পৌঁছান তিনি। পরের বলে হামিদ হাসানের বলে নওরোজ মঙ্গলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়া। তার আগে ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ম্যাথিউস।
এদিন থিরামান্নেকে শিকার করে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন দৌলত জার্দান। পরের ওভারে দিলশানকে ফেরত পাঠান শাপুর। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই সাঙ্কাকারাকে ছেঁটে ফেলেন হামিদ হাসান। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ১৩ বল খেলে ৭ রান করে ফিরে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
এর আগে ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই বল বাকি থাকতে ২৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।
সর্বোচ্চ ৫৪ রান করা স্তানিকজাইয়ের ৫৭ বলের ইনিংসটি গড়া ৫টি চার ও ১টি ছক্কায়।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও লাসিথ মালিঙ্গা তিনটি করে উইকেট নেন।
প্রথম ব্যাট করতে নেমে দশম ওভারে ৪০ রানেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় আফগানিস্তান। তৃতীয় উইকেটে সামিউল্লাহ সেনওয়ারির সঙ্গে স্তানিকজাইয়ের ৮৮ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি। অর্ধশতকে পৌছানোর পর স্তানিকজাই রঙ্গনা হেরাথের শিকারে পরিণত হলে ভাঙে ১৭.৩ ওভারের স্থায়ী জুটি।
এরপর দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। এই সময়ে ফিরে যান সেনওয়ারি, অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। এরপর সেভাবে কেউ জ্বলে উঠতে না পারলে ২৩২ শেষ হয় প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারা আফগানিস্তানের ইনিংস।
আফগানিস্তন: ২৩২/১০(৪৯.৪ ওভার)
শ্রীলঙ্কা: ২৩৬/৬(৪৮.৪ ওভার)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: মাহেলা জয়াবর্ধনে।