এম.এ.কাওছার মুরাদ
আয় আয় আয় খোকা আয় কাছে আয়,
পড়তো কি লেখা প্যাকেটের গায়।
খোকা পড়ে “ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর,”
বাবা বলে ও খোকা এত দেখি শুভঙ্কর।
খোকা বলে ও বাবা এটা কিসের ছবি?
বাবা বলে তামাক খেয়ে মানুষের হৃৎপিণ্ডের রোগ
আলসার, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, টিবি।
খোকা বলে ও বাবা এসব তো প্রাণহানি রোগ,
মানুষ কোন স্বার্থে ধূমপানে জীবন করে ভোগ।
বাবা বলে যারা ধূমপায়ী তাদের তো দুর্গতি,
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সমাজ ও পরিবেশের হচ্ছে ক্ষতি।
এ ক্ষতি করে’ই চলছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ,
ধূমপানে নেশাখোর হয়ে জ্ঞানী-মূর্খ সবাই বেহুঁশ।
এ দেশের মানুষ কেউ দুধ বেঁচে মদ কিনে,
আবার কেউ মদ বেঁচে দুধ কিনে খায়,
মানুষের দুয়ারে দুয়ারে দুধওয়ালা ঘুরে
মানুষ মদ গাঁজা খেতে মদওয়ালার বাড়ি যায়।
শোনো খোকা, সৃষ্টির সূচনা থেকে’ই-
মানুষের নিষিদ্ধ পণ্যের প্রতি বেশি টান,
মানুষ যখন মরণকে দেখতে পায়
তখন বুঝে সুস্থ জীবনের মান।
কেউ পেশাকে নেশা করছে
আবার কেউ নেশাকে করছে পেশা,
কারো কাছে নেশা হলো কর্মক্ষেত্র
আবার কারো কাছে নেশা হলো রংতামাশা।
শোনো খোকা, কেউ সম্পদের পাহাড় তোলে-
কঠোর পরিশ্রম আর তপস্যা-সাধনা করে,
আবার কেউ ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল খেয়ে
সর্বস্ব হারিয়ে রাস্তাঘাটে কুত্তা মরা মরে।
নেশাখোর নেশায় বিভোর, জীবনের মূল্য জানে না,
কোকেন, আফিম, বিয়ার সব’ই বিষাক্ত মাদক,
মানুষ কেনো সেবনের আগে বুঝে না।
বিষাক্ত মাদক যেবনকারী সমাজের দুর্গতি,
জীবননাশক দ্রব্যের নেশায় তাঁরা করে দুর্নীতি।
তাইতো নেশাখোর ব্যক্তি সুশীল সমাজে
একটি চতুষ্পদ প্রাণীর চেয়েও মূল্যহীন,
বিষাক্ত মাদকে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ
নেশাগ্রস্ত জাতি ষোলোকলা অর্থহীন।