হবিগঞ্জের নিয়োগ পরীক্ষা সিলেটে, দুর্ভোগে প্রার্থীরা

24

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ৪১ পদের নিয়োগ পরীক্ষা সিলেটে আয়োজন করায় দুর্ভোগে পড়েছেন ১৫ হাজার প্রার্থী। নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থানীয়ভাবে আয়োজনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনও করেছেন প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে চাকরি প্রার্থী যুব আন্দোলনের ব্যানারে এ মানববন্ধন পালিত হয়।
প্রার্থীরা জানান, সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে রাজস্ব শাখা থেকে ৬টি ক্যাটাগরিতে ৪১টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। স্থানীয় নিয়োগ এবং স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা হবে এ প্রত্যাশায় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রায় ১৫ হাজার চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজস্ব নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ৬ জুলাই হবিগঞ্জের পরিবর্তে সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থানীয়ভাবে হবিগঞ্জ জেলায় নেওয়ার দাবি প্রার্থীদের।
মানববন্ধনে আন্দোলনের মুখপাত্র শফিকুর ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- আবিদুর রহমান রাকিব, তাসকিয়া তাবাসচ্ছুম বৃষ্টি, আমিনুল ইসলাম, মাহাতির মোহাম্মদ ফাইজুল্লা সোহেল, সাইফুর রহমান পাবেল, প্রনব, মাহিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পরীক্ষাটি হবিগঞ্জের পরিবর্তে সিলেটে আয়োজনের সিদ্ধান্ত আমাদের গভীর ভাবে চিন্তায় ফেলেছে। আমাদের অধিকাংশ পরীক্ষার্থীদের আর্থিক ও সামাজিক সীমাবদ্ধতার কারণে আগের দিন গিয়ে সিলেটে অবস্থান এবং যোগাযোগ ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়।
এছাড়া ১৫ হাজার পরীক্ষার্থীদের যাওয়া আসার জন্য প্রতি বাসে ৫০ জন করে প্রায় ৩০০টি বাসের প্রয়োজন। যা ব্যবস্থা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পরীক্ষা স্থানান্তরের কারণ হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার বলেছেন পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ৪০ জন কর্মকর্তার প্রয়োজন। হবিগঞ্জে ৪০ জন কর্মকর্তার আবাসন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। এটা পরীক্ষা স্থানান্তরের কোনো যুক্তি হতে পারে না।
তারা আরও বলেন, ইতোপূর্বে স্থানীয় ও জাতীয় নিয়োগের অনেক চাকরির পরীক্ষা হবিগঞ্জে আয়োজন হয়েছে। তাই চাকরি প্রার্থী নারী-পুরুষদের বহুমূখী অসুবিধার বিষয় বিবেচনা করে পরীক্ষাটি হবিগঞ্জে স্থানীয় ভাবে নেওয়ার আয়োজন করা আবশ্যক। অন্যথায় অনেক পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারবেন না। অবিলম্বে দাবি মানার ঘোষণা না এলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধন শেষে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিভাগীয় প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।