কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে মানুষের জীবন কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই, এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। অপরাধ দমনের নামে ক্রসফায়ারের মাধ্যমে মানুষ যদি হত্যা করা হয়, তাহলে দেশে আইন আদালত কেন? বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটেই চলেছে, এটা বড়ই উদ্বেগের বিষয়। ফলে ক্রমাগতই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন মানবাধিকারকর্মী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি সুলতানা কামাল।
সুলতানা কামাল বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে আরও কঠোর হতে হবে। তবে অপরাধ যতই র্দুর্র্ধষ হোক না কেন, এর বিচার আইনের আওতায় হতে হবে। সরকারের বাহিনীকে বন্দুক দেয়া হয়েছে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু সেই সঙ্গে বন্দুক ব্যবহারের বিধিও দেয়া হয়েছে। সুতরাং বিধিবিধান মেনে বন্দুক ব্যবহার করতে হবে। মাদক নির্মূলে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে হবে। জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্রের বেআইনি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। : তিনি বলেন, যে কোনো অন্যায় অপরাধকে বিচারের আওতায় এনে তার শাস্তি দেয়া উচিত। অথচ সেটা হচ্ছে না। প্রতিদিনই গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি দিতে হবে। সুলতানা কামাল বলেন, অপরাধীদেরকে আটক করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। নিম্ন আদালতে প্রায়ই অপরাধীদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি, মানুষের জীবন কেড়ে নেয়ার অধিকার কারও নেই। মৃত্যুদন্ড দিয়ে অপরাধ রোধ করা যায় না।