নির্বাচনী আসন সিলেট-৬ ॥ বড় দুই দলেই সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী মাঠে, সবাই চান মনোনয়ন

117

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা নিয়ে সিলেট-৬ সংসদীয় আসন। খনিজ সম্পদে ভরপুর ও প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার আসন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুর”ল ইসলাম নাহিদ। স্বাধীনতার পর ১০টি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে চারবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী, তিনবার বিএনপির প্রার্থী ও তিনবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। জোটের প্রার্থী হিসেবে দুইবার জামায়াতের নেতা নির্বাচন করলেও জয়ের মুখ দেখেননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় এই চারটি দলের প্রার্থীরা এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ যেকোনো মূল্যে এই আসনে তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। অন্যদিকে বিএনপি চায় হারানো আসনটি পুনর”দ্ধার করতে। এর বাইরে রয়েছে জোটের নানা হিসাব-নিকাশ।
আওয়ামী লীগ : নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুর”ল ইসলাম নাহিদ। দশম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন মনোনয়ন দাখিল করলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি সিলেট-৫ আসনে চলে যান। ফলে নুরুল ইসলাম নাহিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আগামী নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হবেন। এ ছাড়া দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ করছেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. সরওয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ পাপলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি সফিক উদ্দিন ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফছর খান সাদেক। বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লবের নাম শোনা যাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন না পেলে অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়তে পারেন বলেও ধারণা নেতাকর্মীদের।
এই আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। মূল সংগঠন ছাড়াও সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোতে কোন্দল রয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, দলের কোন্দল নিরসন করতে না পারলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে বিগত উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরো বাড়ে। ফলে এসব স্থানীয় নির্বাচনে দলের বেশির ভাগ প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটে। এই আসনের গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দলের প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু। কিন্তু দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো নেতাও দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেননি। সম্প্রতি সাবেক এই মেয়র সাড়ে ছয় লাখ টাকার একটি দুর্নীতি মামলায় কারাভোগও করেন। পাপলু এ জন্য দলীয় কোন্দলকে দায়ী করেন। এ অবস্থায় বর্তমান দলীয় সংসদ সদস্য নুর”ল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আগামী নির্বাচনে তিনি এই আসনে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে এখন প্রায় প্রতদিনই তিনি দুই উপজেলায় গণসংযোগ করছেন। জাকারিয়া আহমদ পাপলু বলেন, আগামী নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, এরই মধ্যে তিনি দুই উপজেলার সব ইউনিয়নে মতবিনিময়, গণসংযোগ, প্রায় ২৫০টি উঠান বৈঠক ও ১৫টি জনসভা করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় আমি বিএনপি সরকারের আমলে পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। পরে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ফের মেয়র নির্বাচিত হই। কিন্তু নিজ দলের সরকারের আমলে দলীয় একটি গোষ্ঠীর কূটকৌশলের কারণে আমাকে হারতে হয়েছে। পাপলু বলেন, দলীয় সভানেত্রীর আহ্বান অনুযায়ী আমি মাঠে রয়েছি এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগণের কাছে তুলে ধরছি। কিন্তু আমি যাতে নির্বাচনী প্রচার চালাতে না পারি, সে জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে আমাকে মিথ্যা দুর্নীতি মামলায় জড়ানো হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন পেলে এই আসনে তাঁর জয় নিশ্চিত বলেও তিনি জানান।
কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেনও শিক্ষামন্ত্রীর আসনে নির্বাচন করতে চান। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ করছেন। গত বছর গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁর সরব উপস্থিতি রয়েছে। তিনি বলেন, এই আসনে দলের নেতৃত্ব সংকট দেখা দিয়েছে। তাই দলের নেতাকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দলের জন্য মাঠে কাজ করছেন। দল থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি নির্বাচন করবেন বলেও জানান।
আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী নাসির উদ্দিন খান জানান, দলের নেতাকর্মীদের চাপে তিনি প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। তবে দল যদি তাঁকে মনোনয়ন দেয় তবে তিনি অবশ্যই নির্বাচন করবেন।
শিক্ষামন্ত্রীর অনুসারী নেতাকর্মীরা মনে করে, যতই বিরোধ থাকুক শেষ পর্যন্ত তিনিই এই আসনে দলের মনোনয়ন পাবেন। গত নির্বাচনের পর থেকে শিক্ষামন্ত্রী প্রায় প্রতি মাসেই অন্তত একবার নিজ এলাকায় আসা-যাওয়া করেছেন। বিশেষ করে গত এক বছর বেশির ভাগ সময়ই তিনি এলাকায় কাটিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তরর স্থাপন, জনসভায় সরকার ও নিজের ক্ষমতাকালীন সময়ে উন্নয়ন ও সফলতার ফিরিস্তিও তুলে ধরছেন। আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে।
বিএনপি : এই আসনে বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ জোটের হিসাব-নিকাশ। অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতকে এই আসনটি ছেড়ে দিতে হয়েছে বিএনপিকে। আগামী নির্বাচনে কী হবে, তা এখনো জানে না দলের নেতাকর্মীরা। তবে এবার দলের নেতাকর্মীরা শরিকদের এ আসন ছেড়ে দিতে নারাজ। তারা এবার ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীই চায়। তাই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীও অনেক। এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শিল্পপতি ফয়সল আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মাওলানা রশীদ আহমদ ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান।
তবে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে ইনাম আহমদ চৌধুরীর নাম বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। অবশ্য তিনি আদৌ এখানে প্রার্থী হবেন কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। এখন পর্যস্ত এলাকায় নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো তৎপরতায় তাঁকে দেখা যায়নি। ইনাম আহমদ চৌধুরী জানান, নির্বাচন নিয়ে তিনি এখনই কিছু ভাবছেন না। তবে দলের নেতাকর্মীরা মনে করে, শেষ পর্যন্ত দলের স্বার্থেই তাঁকে নির্বাচন করতে হতে পারে।
দলের অন্য সম্ভাব্য প্রার্থী যুক্তরাজ্য ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ চৌধুরী গত নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে আসছেন। ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা এই বিএনপি নেতা বলেন, জোটের কারণে ১৯৯১ সালের পর থেকে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারেননি। আগামী নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের প্রতীকে ভোট দিতে চায়। তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণেই আমি মাঠে রয়েছি। তিনি বলেন, দল আমাকে যদি যোগ্য মনে করে এবং মনোনয়ন দেয় তাহলে অবশ্যই এই আসন দলকে উপহার দিতে পারব। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত দুই বছরে দলকে গুছিয়ে এনেছেন দাবি করে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীরা এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে চায়। এ কারণে আমি এই আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’ এ লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মাওলানা রশীদ আহমদ বলেন, দুই উপজেলার উন্নয়নে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন। নেতাকর্মীরা ধানের শীষ ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিতে চায় না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেই তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। দল ও এলাকার জন্য তিনি যেভাবে কাজ করছেন, তাতে অন্য কেউ দলের মনোনয়ন পাবেন বলে তাঁর মনে হয় না।
এ ছাড়া দলের প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন চিত্রনায়ক হেলাল খান। তিনি নিয়মিত এলাকায় আসছেন। প্রচারসংবলিত তাঁর পোস্টার নির্বাচনী এলাকার সীমানা পেরিয়ে এখন সিলেট নগরের দেয়ালে দেয়ালেও শোভা পাচ্ছে।
আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, প্রচারণায় অনেক প্রার্থীই আছেন। তবে এ ব্যাপারে দলের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তিনি বলেন, যদি দল নির্বাচনে যায় তবে একজনই প্রার্থী হবেন।
জাতীয় পার্টি : এই আসনে জাতীয় পার্টি কোন্দলে জর্জরিত। দুই উপজেলায়ই দলের পাল্টাপাল্টি কমিটি রয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল দলের চেয়ারম্যান এরশাদের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বর্তমানে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ মো. সেলিম উদ্দিনের। তাঁর বাড়িও এই উপজেলায়। কিন্তু পরে তিনি সিলেট-৫ আসনে প্রার্থী হন। তবে তিনি এই আসন একেবারে ছাড়েননি। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনি দুই আসনেই প্রচার চালাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত কোন আসনে তাঁর ঠাঁই হবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এই আসনে এবার তাঁর ‘পথের কাঁটা’ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা শাখার আহ্বায়ক এ টি ইউ তাজ রহমান। দুজনের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক। গত বছর সেলিম উদ্দিন তাজ রহমানের বির”দ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলাও করেছিলেন। পরে দলের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু তাজ রহমান এই আসনে সেলিম উদ্দিনকে ছাড় দিতে নারাজ। চার বছর ধরেই তিনি এ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। তাজ রহমান বলেন, ‘একসময় সিলেট জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে তা ধরে রাখা যায়নি। বর্তমানে আমি দলকে পুনর্গঠিত করে এ অঞ্চলে দলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।’ দলের বৃহত্তর স্বার্থেই তিনি এই আসনে প্রার্থী হবেন বলেও জানান।
এ ছাড়া দলের চেয়ারম্যান এরশাদের উপদেষ্টা বাবর”ল হোসেন বাবুলও এ আসনে প্রার্থী হতে চান। তিনি জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। শেষ পর্যন্ত দলের টিকেট কার ভাগ্যে জুটবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
অন্যান্য দল : এই আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও (জাসদ) প্রার্থী দিতে চায়। জাসদ (ইনু) থেকে এবার মনোনয়ন চাইতে পারেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি লোকমান আহমদ। ৯১ সালে তিনি এ আসনে মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। নাগরিক ঐক্যও এই আসনে প্রার্থী দেবে। দলের জেলা শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিন্নুর আহমদ চৌধুরী দীপু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া বিএনপি জোটের শরিক জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান। অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জোটের প্রার্থী হিসেবে দাড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনে পরাজিত হলেও বিগত দিনগুলোতে তিনি মাঠ ছাড়েননি। তিনি বলেন, জোটগত নির্বাচন হলে এবারও জামায়াত এ আসন পাবে এবং তিনি বিজয়ীও হবেন। এর বাইরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মো. শামসুদ্দীন। গত ২৪ ফেব্র“য়ারি সিলেট বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।