বাউল কল্যাণ সমিতির ঈদ পূর্ণমিলনী ও সংর্বধনা অনুষ্ঠান
বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান বলেছেন, গান হচ্ছে মনের খোরাক, আমরা প্রদাচিত্ব আমাদের পদচারণা এই সাংস্কৃতিক জগতে ঘটে, আমরা যারা জনপ্রতিনিধিত্ব করি আমরা সমাজকে নিয়ে চলি, সমাজকে নিয়ে চলতে হলে সমাজের বিভিন্ন মতাবলম্বী মানুষের সাথে আমাদের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সে হিসেবে আমাদের আদি সংস্কৃতির ধারক বাহক নবীন প্রবীণ বাউল শিল্পীদের সাথে আমার হৃদয়ের সম্পর্কে রয়েছে, আমি ছোট বেলা থেকে বাউল গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম এখনও আছি, বাউল শিল্পীদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি।
এক সময় বাউল গান পরিবেশনে ব্যাপক প্রতিবন্ধতা ছিলো আজ তা অনেকটা নেই বললে চলে। একমাত্র কারন হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার স্বপক্ষে সরকার ধারাবাহিক ক্ষমতা থাকার জন্য। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই পথ সুগম করে দিয়েছেন, মুক্ত চিন্তার চর্চা এখন আমরা নির্ভয়ে করতে পারছি, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে সুস্থধারার সংস্কৃতিকে কেউ প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি দাবায়ে রাখতে পারবেনা। মুহিবুর রহমান বলেন, বাউল কল্যাণ সমিতি, সিলেট বিভাগের এই অনুষ্ঠানে না আসলে জানাতেই পারতাম না আমাদের হাজার বছরের বিশ্ব সংস্কৃতির সভ্যতার অংশ বাউল গানকে বাচিয়ে রাখতে বাউল কল্যাণ সমিতি, সিলেট বিভাগের মতো একটা সংগঠন দীর্ঘদিন যাবত বাউলদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সুস্থ ধারার বাউল গানের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আনার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বাউল কল্যাণ সমিতি, সিলেট বিভাগের যেকোনো ন্যায্য দাবি দাওয়ার প্রতি আমার সমর্থন সবসময় থাকবে। বিশ^নাথের কৃতি সন্তান বাউল পৃষ্টপোষক নুরুল ইসলাম বাউলদের কল্যাণে যে কাজ করছেন, তা সত্যি প্রশংসিত।
৭ মে রোববার রাতে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্ত নজরুল ইসলাম একাডেমীতে বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেট বিভাগের উদ্যোগে ঈদ পূর্নমিলনী এবং বিশিষ্ট সংঙ্গীত পৃষ্টপোষক যুক্তরাজ্যপ্রবাসী নুরুল ইসলামের যুক্তরাজ্য গমন উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাউল কল্যাণ সমিতির সিলেট বিভাগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রাসেল এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গীতিকার হাবিবুর রহমান হাবিব ও প্রচার সম্পাদক গীতিকার এম তছির আলীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সংঙ্গীত পৃষ্টপোষক যুক্তরাজ্য প্রবাসী নুরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী, সংঙ্গীত পৃষ্টপোষক সিসিক ১৩নং ওর্য়াড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহাদত হোসেন লোলন, সিলেট ভিজুয়াল মিড়িয়া ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি নাট্যঅভিনেতা সাহেদ মোশারফ (কটাই মিয়া) জগন্নাথপুর আর্ন্তজাতিক গীতি কবি পরিষদের সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও জগন্নাথপুর উপজেলা কালচার্রাল ফোরাম ইউ’কের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ টুনু মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলা বাউল কল্যাণ পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ, বিশ্বনাথ পৌর যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা বাউল কল্যাণ পরিষদের সদস্য আনসার মিয়া, রবিন চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বাউল কল্যাণ সমিতির সিলেট বিভাগের সহসভাপতি বাউল বিরহী লাল মিয়া, বাউল বিরহী কালা মিয়া, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান, বাউল আব্দুল খালিক, বাউল ইনু সরকার, শিবলু পাগলা, কামরুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, শিপলু মিয়া, ইমরান ঢালী, আজহারল ইসলাম, আবুল হোসেন, আলী হোসেন। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী লাল মিয়া, বাউল শিল্পী কালা মিয়া, বাউল শিল্পী মেঘলা সুমি, সংগীত শিল্পী হাবিবা আক্তার জুমা, মৌমিতা জান্নাত মৌ, সাদিয়া জালালি, যন্ত্র সংগীতে ছিলেন বিরহী আজিজ, আকবর, এস ডি শান্ত ও বাবুল প্রমুখ।