কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ মঙ্গলবার দুটি ফলাফল দেখার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় আছেন বিএনপির কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেই ফলাফল কী আসে সেই হিসাব-নিকাশ মেলাতে ব্যস্ত তারা। এদিন আপিল বিভাগে নির্ধারিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন এবং দলটির সর্বোচ্চ অভিভাবক খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন। এর ওপরই নির্ভর করছে বিএনপির রাজনীতির গতিপ্রকৃতি।
খালেদা জিয়া কি মুক্তি পাবেন নাকি অনির্দিষ্ট সময় জেলে থাকবেন সেটি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়াকে সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেবে কি দেবে না সেটা জামিন হওয়া না হওয়া থেকে বুঝা যাবে বলেও মনে করছেন তারা।
অন্যদিকে একই দিনে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরেও একাধারে আগ্রহ ও উত্তেজনা আছে বিএনপিতে। সরকার নির্বাচনের ফল ছিনিয়ে নেবে নাকি বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হবেন সে হিসাব-নিকাশ মিলাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান জানান, আপিল বিভাগে চেয়ারপারসনের জামিন আবেদনের সিদ্ধান্ত জানতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা সকালেই উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া খুলনা সিটি নির্বাচন মনিটর করতে পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডন থেকে দিকনির্দেশনা পাঠাবেন বলে জানান শায়রুল।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আপিল বিভাগে এ পর্যন্ত যা হচ্ছে তা নজিরবিহীন। এভাবে বিষয়টাকে বিলম্ব করছে।
তিনি বলেন, খুলনার বিষয়টা হলো- জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, সেখানে যে গণজাগরণ হবে আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে পাস করবে। অতএব এখন ফাইনাল দেখার জন্য আমরা সকলে উৎকণ্ঠার সঙ্গে অপেক্ষা করব।