কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সিটি নির্বাচনে কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও হলফনামায় তথ্য গোপন করলে এবং সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর হলফনামায় তথ্য গোপনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার দুপুরে নির্বাচনী সার্বিক বিষয়ের খোঁজ-খবর এবং সমন্বয় কমিটির বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় এ কথা জানান তিনি।
দেশের ছোট-বড় সব নির্বাচন আইনানুগভাবে সবার কাছে যাতে গ্রহণযোগ্য হয় সে চেষ্টা তারা করছেন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বিগত দিনে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন হয়েছে আমাদের শপথ গ্রহণ করার পরপর। সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে সর্বশেষ রংপুরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনও অন্তত রংপুরের চেয়ে খারাপ হবে না, এটা আমরা দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা ও গৃহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন সামনে রেখে সমন্বয় কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করা হয়েছে। ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কাজ করছেন। ২৪ এপ্রিল থেকে আরও ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সঙ্গে যুক্ত হবেন। ১৩ মে ভোটের দুই দিন আগে থেকে আরও ৩৮ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
সব মিলিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ ছাড়া সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে ১৯টি টিম নির্বাচনী এলাকায় কাজ করবে।’
কোনো প্রার্থী আইনের ব্যত্যয় ঘটালে তার জন্য যতটুকু আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন সেটা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা হবে কি না সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। খুব সম্ভবত আমরা একটা বা দুইটা ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহার করার চেষ্টা করব। আর সীমিতসংখ্যক কেন্দ্রকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ইচ্ছে আছে।’
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) খ ম কবিরুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, জেলা আনসার কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম, র্যাব-১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানির কমান্ডার আব্দুস সালাম প্রমুখ।