সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসটি) আবু সাফায়ৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলাম বলেছেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের উৎসব। এটি আমাদের ইতিহাস ও সংস্কতির অবিচ্ছেদ্দ অংশ। এ উৎসবে বাংলার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমানসহ সকল ধর্মাবলম্বীর মিলন ঘটে। মিলনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক উৎসব প্রকাশ পায়। মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। প্রবর্তনকালে সনটি ফসলি সন হিসেবে চিহ্নিত হলেও পরবর্তীকালে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিতি লাভ করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চারুমেলা আর্টস্কুলের উদ্যোগে বর্ষবরণ উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চারুমেলা আর্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক দীপন দেবের সভাপতিতে হেপি আক্তারের সঞ্চালনায় অনুণ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এসএম নুনু মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রোটারিয়ান সোহাদ রব চৌধুরী, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুর রহমান তালুকদার।
এ সময় চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিবৃন্দ। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মালিক ও শাহীন আহমেদ। বিজ্ঞপ্তি