কেমুসাস বইমেলা শুরু ॥ নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে

69

নগরীর দরগাহ গেইটে দেশের প্রাচীনতম সাহিত্যপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস) এর উদ্যোগে ১২ দিন ব্যাপি একাদশ বইমেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় লেখক-পাঠক ও বইপ্রেমী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কেমুসাসের সভাপতি প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে ফিতা কেটে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে, আমাদের সিলেট নগরীতেও সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ। তিনি কেমুসাস বইমেলাকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সহযোগিতার আশ^াস দিয়ে বলেন, আমাদের শহরে অনেক পাঠাগার থাকলেও সেখানে পাঠকের সংখ্যা কম। তাই পাঠক সৃষ্টির লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চারটি নতুন পাবলিক লাইব্রেরি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে লেক সিটিতে লাইব্রেরির জন্য ৫ ডিসিমিল জায়গা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, সিলেটে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বই পড়ে বেশি। তাই মেয়েদেরকে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দমূলক পরিবেশে বই পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস)-এর সভাপতি প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও বইমেলা উপকমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ মবনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বইমেলা বাস্তবায়ন উপকমিটির আহবায়ক আ ন ম শফিকুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেমুসাসের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আজিজ আহমদ সেলিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক তাজুল মুহাম্মদ, কেমুসাসের সহসভাপতি বশির উদ্দিন ও গল্পকার সেলিম আউয়াল।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির প্রবাহে বই ও কাগজের পাঠক কমে যাবে বলে অনেকেই এতদিন ধারণা করেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বইয়ের পাঠক দিনদিন বাড়ছে। প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল-ট্যাবে বই পড়ার সুযোগ থাকা সত্যেও বইয়ের পাঠক কিন্তু কমছে না। একজন পাঠক বই পড়ে যে মজা পান, ট্যাবে বা মোবাইলে সেটা পান না। এতে প্রমাণ হয় বই কোনদিন মরবে না। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজগুলোতে লাইব্রেরি একটি অবহেলিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্কুল কলেজে লাইব্রেরির জন্য কোন বরাদ্দ থাকে না। সরকারের এই নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের বইমেলায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি সন্তানকে সত্যিকার আলোকিত করতে হলে তাকে অবশ্যই বইয়ের সংষ্পর্শে নিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞপ্তি