দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত মাসুক মিয়া ও বাবুল আহমদ স্মরণে এক শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৬ মার্চ শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের ৩ ও ৪নং রোডের বাসিন্দাদের উদ্যোগে হাজী মোঃ ফখরুল ইসলামের বাড়ীতে এ শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, বরইকান্দি ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফয়জুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং শামীম আহমদ ও হোসেন আহমদ রুহুলের যৌথ পরিচালনায় শোক সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুল হান্নান, পাকি মিয়া, হেলাল আহমদ, শামসুদ্দিন মিয়া, আব্দুল গফফার, মোঃ দাইমুল্লা মিয়া, মকবুল মিয়া, করামত উল্লাহ, মোঃ গৌছ মিয়া, বরইকান্দি মাঝপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মনির উদ্দিন, আহসান হাবিব মঈন, হিরা মিয়া, আকছার আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার আকবর আলী, মবশি^র আলী, মাসুক মিয়া, বাবুল মিয়া, ফারুক আহমদ, আবুল কাশেম, আজাদ আহমদ, গিয়াস মিয়া, আলী আব্বাস, শাহেদ আহমদ শান্ত।
হাফিজ সৈয়দ আবিদুর রহমান আবিদের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচিত শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আব্দুস সালাম, সেবুল আহমদ, মঈন উদ্দিন, ফজলু আহমদ, আনছার আহমদ, রিপন আহমদ, মসব্বির আহমদ, গোলাব মিয়া, কামাল আহমদ, সাজু আহমদ, আব্দুল মুকিত, আতাউর রহমান, মনোয়ার আহমদ, সুজন আহমদ, পাবেল আহমদ, পারভেজ আহমদ, শিবলু আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, ইরন মিয়া, মাহবুব আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, মঞ্জুর আহমদ, দুলাল আহমদ, জমির হোসেন, জুনেদ আহমদ, সামাদ আহমদ, আতিক মিয়া, সেলিম আহমদ, কবির আহমদ, হাজী ফখরুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন, তোফায়েল আহমদ শাওন, তাজুল ইসলাম তিতুল, বাদল আহমদ, আব্দুল মালেক, মিনহাজ আহমদ, মোস্তাক আহমদ প্রমুখ। শোক সভায় এলাকার সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
মরহুদ দ্বয়ের রূহের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন কদমতলী পয়েন্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মজির উদ্দীন কাসিমী।
অনুষ্ঠানে বরইকান্দি মাঝপাড়া জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী হাজী মোঃ ফখরুল ইসলাম গুলিতে নিহত মাসুক মিয়া ও বাবুল আহমদের খুনিদের বিচারের দাবিতে আগামী ২৫ মার্চ রোববার বেলা ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
শোক সভায় বক্তারা বলেন, মানুষ তার কর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকেন অনন্তকাল। নিহত মাসুক ও বাবুল অত্যন্ত ভাল মানুষ ছিলেন। সমাজসেবায় তারা অবদান রেখেছেন। তাদের আচার-আচরণে আমরা সন্তোষ্ট ছিলাম। অত্র এলাকার মানুষের হৃদয়ে তারা স্থান করে নিয়েছেন, যা অক্ষয় হয়ে আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন তারা। গত ৬ মার্চের ঘটনা বরইকান্দির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে খুনী আলফু বাহিনী। বহিরাগতদের নিয়ে নিজ এলাকার ঘুমন্ত মানুষের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে যে বর্বোরচিত ঘটনা ঘটিয়েছে তার দায়ভার খুনী আলফুকেই নিতে হবে। আলফু বরইকান্দির ইতিহাস ঐতিহ্যকে ভুলন্ঠিত করেছে। তাকে ক্ষমতা করা যায় না। বক্তরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। ভবিষ্যতে আর কোন দিন যাতে বহিরাগত লোক দ্বারা বরইকান্দির লোক আক্রান্ত না হয় সেদিক সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এলাকার যুব সমাজকে। বিজ্ঞপ্তি