হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
শুধুমাত্র অভিযোগ দায়ের করেই প্রায় ৪৬ হাজার টাকা পেয়েছেন হবিগঞ্জের ৫৬ জন ভোক্তা। ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ করে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে গত তিন বছরে এ আর্থিক পুরস্কার লাভ করেন তারা। একই সময়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়। উক্ত আইনে মোট ১৩০টি অভিযান চালিয়ে ৪১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৫ টাকা জরিমানা এবং বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ আদায়কৃত অর্থ থেকে মোট ৪৬ হাজার ১২৫ টাকা অভিযোগকারীদের দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফজলুল জাহিদ পাবেল সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তৃতা করেন জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, চেম্বারের প্রতিনিধি মো. দেওয়ান মিয়া, ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট এর সাধারণ সম্পাদক প্রবাল কুমার মোদক, কবি নজরুল একাডেমীর সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি, হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মোবাশ্বির আহমদ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যাডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ।
সেমিনারে জানানো হয়, ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ১৩০টি গণশুনানী ও সেমিনার আয়োজন করেছে অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অভিযান চলাকালীন এবং গণশুনানী ও সেমিনারে উপস্থিত জনগণের মাঝে প্রায় ১০ হাজার লিফলেট, পাম্পলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হয়। আইনটি বাস্তবায়নে অধিদপ্তরকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করে আসছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব-৯, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ক্যাব, প্রেসক্লাব, ব্যবসায়ীমহল ও সাধারণ ভোক্তারা। ভোক্তার অধিকার শতভাগ নিশ্চিত করতে অধিদপ্তরের এ সব কার্যক্রম অব্যহত রাখার পাশাপাশি আরও জোরদার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।