বিয়ানীবাজারের পিএইচজি স্কুলের শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট

40

বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজারে পিএইচজি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে গত মঙ্গলবারে শিক্ষক আবু সুফিয়ানের বেত্রাঘাত শিক্ষার্থী মাহদি হোসেনের চোখে লাগে। এতে সে আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার অস্ত্রোপচার শেষে জানিয়েছেন চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। বেতের আঘাতে তার বাম চোখের ক্রনিয়া জখম হয়েছিল। এ ঘটনায় সমায়িকভাবে শিক্ষক আবু সুফিয়ানকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থী মাহদি হোসেনকে স্বজনরা সিলেট ওসমানি হাসপাতালে গত মঙ্গলবার বিকালে ভর্তি করলেও তার চোখে বুধবার সকালে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. শান্ত চোখে অস্ত্রোপচার শেষে বাম চোখটি ভাল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন।
পৌসভার শ্রীধরা গ্রামের জাবেদ আহমদ শিক্ষার্থী মাহদি হোসেনের মা রোমেনা বেগমের বরাত দিয়ে বলেন, মাহদির বাম চোখ নষ্ট হয় গেছে। এ চোখ আর ভাল হবে না বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। শিক্ষার্থী মাহদি তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা আতিক হোসেন শ্রীধরা বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। পারিবারিক অবস্থা নির্ভর করে আতিক হোসেনের ব্যবসার উপর। তার মধ্যে ছেলের অনাকাঙ্কিত এ ঘটনায় এ পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছে।
পিএইচজি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাসিব জীবনসহ শিক্ষকরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় তার পরিবারের স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাটি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ বহন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছি।
তিনি আরোও বলেন, উপজেলার সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে কোন শিক্ষক বেত নিয়ে শ্রেণি কক্ষে না যান। আগামী সভাও এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এর ব্যত্তয় ঘটলে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।