স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা হয়েছে দাবি করে পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা মাদককেও রুখে দিতে পারবো। আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়কে। এই উন্নয়নের মহা সড়কের প্রধান বাধা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকের বিস্তার। আমরা যদি পারি একাত্তরে পাক হানাদারদের ও জঙ্গিবাদকে রুখে দিতে, তবে আমরা কেন পারবো না মাদককে রুখে দিতে? আমরা মনে করি জনতার শক্তি অনেক। আপনারা সাথে থাকলে আমরা যেমন করে জঙ্গিবাদ রুখে দিয়েছি, সন্ত্রাস রুখে দিয়েছি, তেমনি মাদককে রুখে দিতে পারবো। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় নগরীর রিকাবীবাজারস্থ সিলেট পুলিশ লাইনে জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে আইজিপি আরো বলেন, মাদক আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা নয়, মাদক একটি সামাজিক সমস্যা। একে সামাজিক ভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে এই মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই জন্যই আজকের এই সমাবেশের আয়োজন। যাতে আপনাদেরকে আমরা পাশে পাই, আপনাদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। তিনি বলেন, মাদক এমন একটি সমস্যা যেখানে একটি পরিবারে যদি একটি মাত্র মাদকাসক্ত ব্যক্তি থাকে তবে পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তেমনি ভাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাদকের করাল গ্রাসে। এটা আমাদের সমন্বিত ভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
মাদক আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ইয়াবা তো আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না, ফেনসিডিল তো আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না। তা হলে মাদকের বৃহৎ অংশই অন্য কোথাও থেকে আমাদের দেশে আসে। তাই সমন্বিত পরিকল্পনা করলে মাদকের আগ্রাসন রুখে দেয়া কঠিন নয়।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ এখন রুল মডেল উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, বাহিরে গেলে অনেকেই জানতে চান কিভাবে আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে রুখে দিয়েছি। আমরা বলি, বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা আছে, সেই যোগ্যতাও আছে। শুধু সবার সহযোগিতা পেলে নিরাপদ বাংলাদেশ তৈরি করে শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ তৈরি করবে। আতিয়া মহলের অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, এই অভিযানে ৩ জন জীবন দিয়েছেন। ২০১৩-১৪-১৫ তে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ১৭ জন পুলিশ প্রান দিয়েছেন আর ৩০০০ এর বেশি পুলিশ আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে তবু এখনো ঘাঁড়টি আছে। সিলেটেই ১ কোটি জনগনের জন্য সব মিলিয়ে ১০ হাজারও নেই।
মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আ’ লীগে সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আ’লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, সাবেক সাংসদ জৈবুন্নেসা হক, আ’ লীগ নেতা আনারুজ্জামান চৌধুরী, বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, দোয়ারাবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আলী ও অধ্যাপক বিজিত কুমার দে প্রমুখ।