জামালগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় ভীমখালী ইউনিয়নে ডুবন্ত বাঁধ পুনরাকৃতি করণ কাজে ৪টি পিআইসির মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে।
এসব প্রকল্পে গ্রামীণ সড়ক ও উঁচু কান্দায় হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে পাউবো ও সংশ্লিষ্ট পিআইসিরা। নীতিমালা উপেক্ষা করে কম ঝুঁকিপূর্ণ এসব জায়গায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় করা হচ্ছে।
আর এ কাজে দু-দফা রদবদল করে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৮২ লাখ টাকা। এই ৪টি প্রকল্পে দু’দফা প্রাক্কলন বরাদ্দ রদ বদল ও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক প্রাক্কলনে ৪নং পিআইসিতে প্রাথমিক ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থেকে বাড়িয়ে চূড়ান্ত প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ১৮লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
৫নং পিআইসিতে ১৪ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০লাখ ৯১হাজার টাকা। ৬নং পিআইসিতে ১৪লাখ ৯০হাজার টাকা বৃদ্ধি থেকে ২০লাখ ৩৯হাজার টাকা করে বরাদ্দ রদবদল ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৫০নং পিআইসিতে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দের স্থলে ২১লাখ ৬৩হাজার টাকা করা হয়েছে।
অথচ এসব স্থানে বিগত সময়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বহুবার একাধিক প্রকল্প দিয়ে রাস্তার উন্নয়ন করা হয়েছে। গেল বছর হাওর দুর্যোগ দেখা দিলে তড়িঘড়ি করে ৪ ও ৫ নং পিআইসি এলাকায় পাউবোর নিয়োজিত ঠিকাদার এক্সোভেটর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করেছিল। অক্ষত এসব বাঁধে এ বছরও দ্বিগুণ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে বাঁধের নামে পাউবোর কাজ করানো হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার স্থানীয় কৃষক হারার কান্দি গ্রামের আব্দুল আখের, হুগলি গ্রামের আমিরুল হক জানান, বিগত কোন সময়ে আমাদের এলাকা দিয়ে হাওরের ফসল তলিয়ে যায়নি। গ্রামের সড়ক ও উঁচু কান্দা অতিক্রম করে ঢলের পানি ঢুকার সম্ভবনা নেই। যদিও কৃষকদের নৌকা চলাচলে ও হাওরের পানি নিষ্কাশনে দুএকটি ছোট খাড়া রয়েছে। কৃষকগণ আরও বলেন, জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসেও এসব এলাকার সিংসভাগ বাঁধ ভাসমান থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আমাদের চলাচলের রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের ভীমখালী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মজিদ মিয়া জানান, এই সড়ক নির্মাণ হওয়ায় অত্র এলাকার লোকজনের চলাচলের পথ সুগম হয়েছে। তবে এসব উঁচু জায়গা দিয়ে বোরো ফসল তলিয়ে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জের পাউবোর কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন দাসের সাথে মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সাম্প্রতিক প্রত্রিকান্তরে হাওরবাঁধে অনিয়ম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তিনি
গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে ফেইসবুকে কটুক্তি করেন।
হাওর বাঁধ নির্মাণে এসও নিহার রঞ্জন অনিয়ম সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভুঁইয়া বলেন, নিহার রঞ্জন দাস তো আমার ফোনও অনেক সময় ধরে না। ওর খুঁটির জোর কোখায়….?
আপনারা আমাকে অনিয়মের তথ্য দিন আমি ব্যবস্থা নেব।