হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় রসায়ন বিষয়ে ঘটেছে এক তুলকালাম কাণ্ড। রসায়ন বিষয়ে চলতি বছরের প্রশ্নপত্রে স্থলে ২০১৬ সনের পুরাতন প্রশ্নপত্র দিয়ে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রায় ১ ঘন্টা সময় পরীক্ষা দেয়ার পর পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে গড়মিল থাকায় পর পরীক্ষক প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করেন। কিন্তু অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকগণ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা এ বিষয়ে ফেল করার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন। আবার অনেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা লোকদের দোষারোপ করছেন।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সারা দেশের ন্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার নবীগঞ্জ শহরে অবস্থিত হীরামিয়া গার্লস হাই স্কুলে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এতে এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় ৪২ জন। এর মধ্যে শাহ তাজউদ্দিন কুরেশী (রহঃ) এ প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ জন। নির্দিষ্ট সময়ে রসায়ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র ছাত্র-ছাত্রীদের তুলে দেন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীগণ পড়ে মহা দুশ্চিন্তায়। পূর্বের সাজেশন অনুযায়ী প্রশ্নপত্রে কোন মিল নেই। প্রায় ১ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর পরীক্ষার্থীগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ তাড়াহুরো করে প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফিরেয়ে নেন। এতে করে তাদের মধ্যে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ। তাড়াতাড়ি করে কেন্দ্র সচিব ও হীরামিয়া গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এটি.এম বশির আহমদ ধামা চাপা দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরাতন ২০১৬ সনের প্রশ্নপত্র টেনে নিয়ে পুনরায় এ বছরের অর্থাৎ ২০১৮ সনের প্রশ্নপত্র (রসায়ন) বিষয় তাদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ায় নতুন প্রশ্নপত্র পেয়ে শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ের মধ্যে শতভাগ উত্তর লিখতে না পারায় তারা আশংকায় রয়েছে এ বিষয়ে ফেল করবে। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি অভিভাবকদের কাছে বললে এ নিয়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে এ প্রতিবেদক হীরামিয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব এটি এম বশির আহমদ এর কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৮ সনের রসায়ন বিষয়ের প্রশ্নপত্রের বান্ডিলে ভুলবশত বোর্ড থেকে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রের স্থলে ২০১৬ সালের পুরাতন প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। এর জন্য ভুলবশত শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রায় ২০/২৫ বিশ থেকে পচিশ মিনিট সময় অতিবাহিত হবার পর শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিকে পুনরায় নতুন প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হবে না। তারা এ বিষয়ে সকলই পাস করবে। ছাত্র- ছাত্রীদের অভিভাবক ও সচেতন মহল মনে করেন পুরাতন প্রশ্নপত্র দিয়ে সময় কর্তন করায় এবং তাদের সময় বাড়িয়ে না দেয়ায় এ বিষয়ে অনেকেই ফেল করবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আতাউল গণি ওসমানীর সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে কেহ কোন প্রকার অভিযোগ করেননি বা স্কুল থেকে এ বিষয়ে কোন ম্যাসেজ পাননি।