স্টাফ রিপোর্টার :
ওলী-আউলিয়ার দেশ সিলেট। ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি এই সিলেটে সবচেয়ে বড় ওলী হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিকরা। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে সব দলের ছোট-বড় নেতা সবাই সিলেট সফর করে গেছেন। মাজার জিয়ারত করছেন। কেউবা আবার করছেন মানতও। নেতাদের ভিড়ে সিলেট যেন এখন রাজনীতিকদের তীর্থস্থান হয়ে উঠছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেটে আসেন। এদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্য একই, তা হলো মাজার জিয়ারত করা। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সিলেটে সফরে বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেছেন। মূলত ২০১৮ নির্বাচনি বছর হওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধান ও জাতীয় পর্যায়ের নেতারা ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেটের মাটি ও মাজার ছুঁয়ে তাদের রাজনীতি এবং নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর দিকেই ঝুঁকেছেন।
দেখা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গাড়িবহর নিয়ে সিলেটে আসছেন এবং মাজার জিয়ারত করে যাচ্ছেন। পীর মাশায়েকদের দোয়া নিতে সিলেট যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। রাজনীতিতে ভেদাভেদ থাকলেও সিলেটে এসে মাজার জিয়ারত করতে কেউই পিছিয়ে নেই।
গত ৩০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সফর ও আলিয়ার মাঠে বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দিয়ে গেছেন। এরপরই গত ১ ফেব্র“য়ারি সিলেটে আসেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরপর গত সোমবার ৫ ফেব্র“য়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও পুরোবহর নিয়ে সিলেটের মাজার জিয়ারত করে রাতে ঢাকা ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েই সিলেট থেকে তার নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছেন। গত ৩০ জানুয়ারি সিলেটে মাজার জিয়ারতের মধ্যদিয়ে তিনি তার নির্বাচনি প্রচারণার জনসভায় যোগ দেন। সিলেটবাসীর কাছে ভোট চান প্রধানমন্ত্রী। এরপর মাজার জিয়ারত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তবে তিনি কোনও জনসভা করেননি। মাজার জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এরশাদ। একইভাবে খালেদা জিয়াও সিলেট আসেন। তবে মাজার জিয়ারতের পর তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।