সালিশে ইজ্জতের মূল্য ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ ॥ হবিগঞ্জে অপমানে কিশোরীর আত্মহত্যা

50

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বপ্না নামে এক কিশোরী। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামে গত শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের দিনমজুর মোতালেব মিয়ার কন্যা স্বপ্না বেগমকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো একই গ্রামের সাবেক মেম্বার স্বপন মিয়ার ছেলে দোকান কর্মচারী শান্ত মিয়া। গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে স্বপ্নাকে স্থানীয় পলাশ ইলেকট্রনিক্সের কর্মচারী শান্ত তাকে দোকানে ডেকে নেয়। শান্ত পালিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় স্বপ্নাকে। এতে রাজী না হওয়ায় শান্ত দোকানের ভেতরে তাকে আটকে রেখে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায়। পরে দোকান মালিক দরজা খুলে স্বপ্নাকে দেখতে পান। বিষয়টি স্বপ্না বাড়িতে গিয়ে মা-বাবাকে জানায়। এক পর্যায়ে স্বপ্নার বাবা মোতালেব মিয়া ওয়ার্ড মেম্বার সাজু মিয়া ও গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে বিচার দাবি করেন। এ নিয়ে শুক্রবার গ্রাম্য সালিশে উক্ত ঘটনার জন্য শান্ত মিয়ার বাবা স্বপন মিয়াকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিস্তু স্বপন মিয়া ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। সালিশের পর স্বপ্নার মা বাড়িতে গিয়ে কন্যার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার সাজু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।