বানিয়াচংয়ে যুবতীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

24

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে যুবতী ছাবিনাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র এসআই মো. ইকবাল বাহার উক্ত ঘটনায় দু’টি চার্জশিট জমা দেন। একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আলতে এবং অন্যটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র এসআই মো. ইকবাল বাহার জানান, যেহেতু মামলাটি নারী নির্যাতন সে হিসেবে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে দিতে হয়েছে। অপরটি দন্ডবিধির জন্য সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমা দিতে হয়েছে। তবে কোন হাসপাতালে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়েছিল তা বাদি বলতে পারবেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই উপজেলার লোহাজুরি গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে ছাবিনা (২১) কে ২০১৭ সালের শুরুর দিকে দিনদুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষণ করে একই গ্রামের নান্দু মিয়া খানের ছেলে জুম্মান খান। লোকলজ্জার ভয়ে পরিবারের লোকজন কাউকে বিষয়টি প্রথমে বলেনি। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে বিষয়টি ধর্ষক জুম্মান খানের বাবাকে অবহিত করে বিচার চাওয়া হয়। ইতিমধ্যে ওই যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। সালিশে বিয়ের আশ^াসে তাকে গর্ভপাত ঘটাতে বললে জুম্মানের মা বাইতুন নেছা ও আত্মীয় আলতাব মিয়া ৪ দিন হবিগঞ্জ শহরে রেখে তাকে গর্ভপাত ঘটনানো হয়। পরবর্তীতে নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সালিশে বিয়ে না করিয়ে জুম্মান ও অভিযুক্ত বকুল মিয়াকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। একই বছরের ১৭ জুলাই বাড়িতে কেউ না থাকার ফলে আসামীরা ছাবিনাকে হত্যা করে গলায় ওড়না দিয়ে খাটে ফেলে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে তার বাবার কাছে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে খাটে মাথা রেখে মাটিতে পা দেয়া অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চান মিয়া বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে আসামী জুম্মানকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় জব্দ করে। বিষয়টি পুরো উপজেলায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। পুলিশ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।