বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেট বিভাগের ঘোষণা ॥ ‘নিষ্ঠুর বন্ধুরে’ গানের রচক রহিমুদ্দিন

108

‘নিষ্ঠুর বন্ধুরে পাষাণ বন্ধুরে/তোর মনে কি দয়ামায়া নাইরে’ এই বাউলগান নিয়ে দুই গীতিকার ও তাদের সমর্থকদের দ্বন্দ্বের ব্যাপারে বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেট বিভাগ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এই গানটি যুক্তরাজ্য প্রবাসী রহিমুদ্দিন এবং কুয়েত প্রবাসী ফারুক মিয়া তাদের লেখা বলে দাবি করে আসছিলেন। এতে দু’পক্ষের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় এবং প্রায় তিন মাস যাবৎ সিলেটের বাউল অঙ্গনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেট বিভাগ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এবং গানটি যুক্তরাজ্য প্রবাসী রহিমুদ্দিনের লেখা বলে সমিতির গঠিত ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
গানটি রচনার দাবি নিয়ে বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেট বিভাগের আহবায়ক কামাল উদ্দিন রাসেল গত ২৫ ডিসেম্বর ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহবায়ক গীতিকবি ইরন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক ভাণ্ডারী সিরাজ উদ্দিন এবং সদস্য ভাণ্ডারী লাল মিয়া, রানু সরকার, সূর্যলাল দাস, জুয়েল মিয়া, মুজিব মালদার, হেলাল খান, উদাসী মুজিব, যন্ত্র শিল্পী শৈলেন দাস ও তোতা মিয়া। কমিটির সদস্যরা গত ৭ জানুয়ারি নগরীর তালতলায় একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলনকক্ষে সভায় মিলিত হন। কমিটির সদস্য তোতা মিয়া অসুস্থ থাকায় তার অনুপস্থিতিতে বাউলশিল্পী হারুন মিয়াকে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয় এবং তিনি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক গীতিকবি ইরন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেট বিভাগের আহবায়ক কামাল উদ্দিন রাসেল, ভাণ্ডারী শফিক মিয়া, ভাণ্ডারী জি.এস. বশর, ভাণ্ডারী জালালী পারভেজ, শীতল বাবু, জাকির হোসেন, ইকরাম উদ্দিন, যন্ত্রশিল্পী তৈমুছ আলী, ভাণ্ডারী আব্দুল খালিক, সংগীতানুরাগী রুহুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, অপূর্ব, জাহাঙ্গীর আলম ও রহিমউদ্দিন। বিজ্ঞপ্তি