মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাজীপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আরিফ আলী (১৮) নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে অরো ৯ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে খালিক মিয়া ও তার ভাই খালেদ মিয়াকে।
ঘটনা পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ পুলিশি পাহারা অব্যাহত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যার দিকে হাজীপুর গ্রামে বাড়ির ভেতর যৌথ পুকুরে রাস্তা ব্যবহার ও পুকুরে বাসন পরিষ্কারকে কেন্দ্রকরে বাড়ীর মহিলাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
জানা যায়, মহিলাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে ওই বাড়ির পুকুরের একটি অংশের মালিক আরবেস আলী ও আব্দুল খালিক মেম্বার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
সরেজমিনে গেলে প্রত্যোকদর্শীরা জানান, খালিক মেম্বারের ইফতার পার্টিতে আসা তার লোকজন লোকজন ইফতারের পরপরই আরবেশ আলীর বসত ভিটায় ইট পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
নিহত আরিফের মা ফুয়ারা বেগম জানান, হামলাকারীরা তার স্বামীকে মারধর করতে থাকলে, ছেলে আরিফ বাবাকে রক্ষা করতে যায়। যাওয়ামাত্রই তাকে ধরে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে।
তিনি আরোও জানান, হামলাকারীরা তার স্বামী আরবেশ আলী, তার পিতা হাজি আজমত আলী, স্ত্রী ফুয়ারা বেগম, ছোট ছেলে শিপন, মেয়ে পলি ও লাভলী এবং একই বাড়ির আলেক মিয়া, ঈদন মিয়া, রিমন মিয়াকে মারাত্মক আহত করেন। গুরুতর আহত আরবেশ আলীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও হামলাকারীরা তার বসত গৃহে প্রবেশ করে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে আলমারীতে থাকা নগদ এক লাখ টাকা এবং এক লাখ ষাট হাজার টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
আরবেশ আলীর লোকজনকে আহত করেই শান্ত হয়নি, হাসপাতালে যেতেও বাধা দেয় বলে অভিযোগ করে আহত হাজি আজমত আলীসহ এলাকার লোকজন।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরিফ মারা যায়।
এ ঘটনায় আরবেশ আলী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ্যপূর্বক আরোও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম নজরুল ইসলাম বর্তমানকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আব্দুল খালিক ও খালেদ মিয়াকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরোও জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য এলাকায় পুলিশ পাহারা অব্যাহত রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হবেনা, ততদিন পর্যন্ত পুলিশি পাহারা থাকবে।