হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুরে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য আলাউর রহমান শাহেদ এবং জসিম উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ এ জামিন নামঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কারাগারে থাকা তিন আসামির পক্ষে ১৫/২০ জন আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন প্রার্থনা করে বিভিন্ন যুক্তি এনে শুনানী করেন। অপরদিকে জামিনের বিরোধীতা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফয়জুল বশীর চৌধুরী সুজন। পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু জানান, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাই আইনগতভাবে তাদের জামিনের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। এখন তারা উচ্চ আদালতে জামিনের চেষ্টা করবেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফয়জুল বশীর চৌধুরী সুজন জানান, আসামি তারা মিয়া ও শাহেদ হাইকোর্টে জামিন প্রার্থনা করে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। নারী জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। তাই তিনি জামিনের বিরোধিতা করেন।
গত ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জের একদল ডিবি পুলিশ ঢাকার কদমতলীর একটি বাসা থেকে তারা মিয়া ও শাহেদকে গ্রেফতার করে। এর আগে গ্রেফতার করা হয় জসিম মিয়াকে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে মিরপুর বেদে পল্লীতে সমাজসেবা অধিদফতরের উদ্যোগে সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে এমপি কেয়া চৌধুরীর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে এমপি কেয়া’র ওপর হামলা চালায় তারা মিয়া ও শাহেদের নেতৃত্বে একটি দল।
এ ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও ইউপি সদস্য পারভিন আক্তার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।