ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে জলাবদ্ধতায় জুনিয়ার হাওরের সহ¯্রাধিক একর বোরো জমি অনাবাদী থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ খুরমা ও চরমহল্লা ইউনিয়নের শস্য ভান্ডার খ্যাত জুনিয়ার হাওরে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘানিউরা নদী থেকে হাওরের পানি নিষ্কাশনের নালাটি এখন পলি মাটিতে ভরাট হওয়ায় এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের জুনিয়ার হাওরে ধনপুর, রাউতপুর, চেচান, বাউর, হরিশ্বরন, হাতধলানী ও টেটিয়ারচর, শাখারুচর, পুরাকাটি ও জালালীচর গ্রামের ৮শতাধিক কৃষক এ হাওরে চাষাবাদ করে আসছেন। প্রায় ৭বছর থেকে হাওরে পানি নিস্কাশনের একমাত্র নালা পলি মাটিতে ভরাট হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে হাওরে চরম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ফসল উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় কৃষকরা অনাহারে বসবাস করছে। কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে খাল খননের জন্যে বরাদ্দের আবেদন করলেও কৃষি অফিস তাদেরে কোন সহযোগিতা করেনি। এ ব্যাপারে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর এলাকাবাসির পক্ষে আনা মিয়া, ইখতিয়ার উদ্দিন ও জুয়েল আহমদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করলেও আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন হাওরের কৃষি জমিতে ৫ থেকে ৬ ফুট পানি রয়েছে বলে হাওর পারের কৃষকরা জানিয়েছেন। শীঘ্রই খাল খনন না করলে জলাবদ্ধতায় হাওরের সব বোরো জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে।