কাজিরবাজার ডেস্ক :
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান দ্বিতীয় এবং বিশ্বের মধ্যে ৪১তম। আইএমএফের তথ্যের আলোকে সম্প্রতি কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্টের করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১০৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক জিডিপির ভিত্তিতে ১৯১ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৩৯৭ বিলিয়ন বা ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারতই বাংলাদেশের উপরে রয়েছে। দেশটির জিডিপির আকার ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার। বৈশ্বিক তালিকায় ভারতের অবস্থান ষষ্ঠ। জিডিপির ভিত্তিতে শীর্ষ ৫০-এ দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশ নেই।
প্রতিবেদনে মূলত ট্রিলিয়ন ডলারের মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিধি পরিমাপ করা হয়। বিশ্ব অর্থনীতির আকার ২০২০ সালে ছিল ৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, ২০২২ সালেই বিশ্ব অর্থনীতির আকার (জিডিপির ভিত্তিতে) হবে ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
নতুন এই মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে করা জরিপের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জিডিপির আকার ২৫ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক মোট জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ। ১৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে এর পরের অবস্থানই চীনের। দেশটির দখলে বৈশ্বিক জিডিপির পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
৪ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে জাপানের অবস্থান তিন নম্বরে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে সবচেয়ে বেশি জিডিপি জার্মানির। বৈশ্বিক তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ।
৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে যুক্তরাজ্য বিশ্বে পঞ্চম। ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান সপ্তম। কানাডার জিডিপির আকার ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার, বৈশ্বিক অবস্থান অষ্টম।
ইতালির জিডিপি ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারের, দেশটির অবস্থান নবম। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে সবার ওপর ব্রাজিল। বৈশ্বিক তালিকায় দেশটির অবস্থান দশম। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ৫১১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে সবেচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ নাইজেরিয়া। তালিকায় দেশটির অবস্থান ৩১তম।
করোনা কাটিয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ধারণা করা হয়েছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট যুদ্ধের রূপ ধারণ করলে বৈশ্বিক অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়ে। এতে দেশে দেশে বেড়ে যায় মূল্যস্ফীতি, কমে আসে মানুষের জীবনযাত্রার মান।