দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার-মুন্সিবাজার রাস্তা দীর্ঘ ১০ বৎসর যাবত অযতœ অবহেলায় পড়ে রয়েছে। বিশেষ করে অত্র সড়কের মুন্সিরবাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের অবস্থা একেবারে বেহাল। রাস্তায় ফাটল, বড় বড় গর্ত, নির্মাণে ব্যবহৃত রড বের হয়ে যাওয়া এবং দু ধারের মাটি সরে যাওয়ায় রাস্তার অবস্থা একেবারে সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। এহেন অবস্থায় যান এবং জন চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষ একেবারে নিরব। সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার হলেও কামালবাজার-লালাবাজার সড়কের ভাগ্যে এখন বদল হয়নি। ফলে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। বিশেষ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবারের আশ্বাস এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। কবে যে এর ভাগ্য বদল হবে এ চিন্তায় বিভোর এলাকার অধিবাসীরা।
সিলেট জেলার দক্ষিণ প্রান্তস্থিত জনপদ দক্ষিণ সুরমা। এ উপজেলারই সর্বশেষ প্রান্ত কামালবাজার, তেতলী এবং বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম লালাবাজার- কামালবাজার সড়ক। অত্র ইউনিয়ন সমূহের শতাধিক গ্রামের জনসাধারণকে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ছাত্র/ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী এবং অন্যান্য পেশার লোকজনকে এ রাস্তাকে ব্যবহার করে শহরমুখী হতে হয়। অথচ জনবহুল এ রাস্তার দীর্ঘ দিনের ভগ্নদশা এলাকাবাসীর চলাচলের মারাত্মক দুভোর্গের সৃষ্টি করে। জনপ্রতিনিধি বরাবরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও মিথ্যা আশ্বাসবানী বার বার এলাকাবাসীর মনে দাগ কাটে। কবে যে এ রাস্তার উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে সন্ধিহান এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। অথচ বাসিয়া নদী তীর সংলগ্ন এ রাস্তার ধারেই রয়েছে হযরত আলী (রাঃ) একাডেমী, সভাসুন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছমিপুর দাখিল মাদ্রাসা, আল-হেরা একাডেমী সহ আরো নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে করেই ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা অর্জনে আসতে হয়। শুধু তাই নয় দক্ষিণ সুরমার সবজি আবাদকারী এলাকা হিসেবে বিখ্যাত তেতলী ইউনিয়নের শস্যউড়া, বনগাঁও, মুন্সিরবাজার, নিজগাঁও, গ্রামে সিলেটের উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ সবজি উৎপাদিত হয়। অথচ রাস্তার ভগ্ন দশার কারণে কৃষকদেরকে শুধু দুর্ভোগ নয় বরং আর্থিক ক্ষেত্রেও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। (খবর সংবাদদাতার)