বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তাহিরপুরে বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যাওয়ার ৮ বছর পরও পেনশনের টাকা পাচ্ছেন না মৃত নৈশ প্রহরী আব্দুর রহিমের পরিবার। বছরের পর বছর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন কিছুই জানতে না পেরে তারা দিশেহরা। মৃত নৈশ প্রহরী আব্দুর রহিমের স্ত্রী ও সন্তানদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমলে না নেয়ায় তারা এখন পর্যন্ত তাদের মৃত বাবার পেনশন পাচ্ছেন না।
জানা যায়,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ভূলাখালি গ্রামের আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে। দায়িত্বপালন কালে হঠাৎ করে ২০১০ সালে কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর আব্দুর রহিমের পরিবার বছরের পর বছর বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেছেন মৃত আব্দুর রহিমের পেনশনের টাকা পাওয়ার জন্য কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকায় এবং এ বিষয়ে কোন প্রকার খোঁজ খবর না নেয়ায় এখন পর্যন্ত তারা তাদের মৃত বাবার পেনশনের টাকা পাচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে একই বিদ্যালয় থেকে জীবিত অবস্থায় দু’জন শিক্ষক পেনশন নিয়েছেন এবং অপেক্ষায় রয়েছেন আরও দু’জন।
মৃত্যু কালে আব্দুর রহিম তার স্ত্রী সহ ৩ ছেলে ও ৬ মেয়ে রেখে যান। মেয়েরা বর্তমানে স্বামীর সংসারে রয়েছে। ছেলেরা বৃদ্ধ মাকে নিয়ে খুব কষ্ট করে জীবন যাপন করছেন।
নৈশ প্রহরী আব্দুর রহিমের সন্তান সুলতান মিয়া, জয়নাল আবেদীন ও বিল্লাল মিয়া জানান, ৮ বছর পূর্বে তাদের পিতা আব্দুর রহিম বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যান। মারা যাওয়ার ৮ বছর পরেও তারা তাদের মৃত বাবার পেনশনের টাকা পাননি। কখন পাবেন,সে বিষয়ে কোন ধারণা দেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দানু বলেন, আব্দুর রহিম মারা যাওয়ার পর তার পেনশনের টাকা পাওয়ার জন্য অবসর সুবিধাবোর্ডে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র পাঠানা হয়েছিল সে সময়। খোঁজ নিতে না পারায় বিষয়টি এখন পর্যন্ত ঝোলে আছে। আমি চেষ্টা করবো যাতে আব্দুর রহিমের সন্তানরা দ্রুত তাদের পিতার পেনশনের টাকা পায়।
বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নিজাম উদ্দিন তিনি বলেন-কিছুদিন হল আমি বিষয়টি জেনেছি। জানার পর প্রধান শিক্ষককে বলেছি বিষয়টির খোঁজ খবর নেয়ার জন্য।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন বলেন, নৈশ প্রহরীর সন্তানরা আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছে। আমিও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার জন্য বলবো।
তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের হাতে না এটি সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা অফিসের ব্যাপার তবু আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছি ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করে বিষয়টি খোঁজ নেয়ার জন্য।